724
Published on জানুয়ারি 16, 2021৩৫ বছর বয়সী কৈশলা রায় কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর চা বাগানের শ্রমিক। কেরোসিনের ল্যাম্পবাতি দিয়ে চলে গেছে তার আগের প্রজন্মগুলো। তিনি বলেন, 'কেরোসিনের ল্যাম্প বাতি বৃষ্টির দিনে ঠিকমতো জ্বলত না। আর শীতকালে মনে হতো যে কোনো সময় আগুন লেগে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের কোনো উপায় ছিল না। এখন পল্লী বিদ্যুতের আলো পেয়ে মনে হচ্ছে আলাদিনের প্রদীপ পেয়েছি।'
শুধু কৈশলা রায় নন, আরও অন্তত ২০ জন চা শ্রমিক এমন আনন্দের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর জানান, চাতলাপুর চা বাগানের মোট ৩৮৩টি চা শ্রমিক পরিবার নতুন করে পল্লী বিদ্যুৎ পেয়েছে। গত রোববার তাদের ঘরে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিজিএম এ তথ্য জানান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চাতলাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, যারা এখনও বিদ্যুৎ পাওয়া বাকি আছে, তাদেরও যেন শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর, শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আলী, শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মখদ্দছ আলী, চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সাধন বাউরী প্রমুখ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর জানান, পরিবারগুলোতে বিদ্যুতায়নে নির্মাণ লাইনের পরিমাণ ৪ দশমিক ৩৭৩ কিলোমিটার। এতে মোট ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুলাউড়া ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, চা শ্রমিকদের ছেড়ে কোনোভাবেই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য তারা এসব চা শ্রমিকের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছেন, অল্প কিছুদিনের ভেতর উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
এই কাজটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কপিরাইটযুক্ত এবং অনুমোদিত। আপনি কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিগত, অবাণিজ্যিকব্যবহারের জন্য অথবা আপনার সংস্থার মধ্যে ব্যবহার করার জন্য এই উপাদানটিকে অনির্দিষ্ট ফর্মের মধ্যে ডাউনলোড, প্রদর্শন, মুদ্রণ এবং পুনরায় তৈরি করতে পারেন (এই বিজ্ঞপ্তিটি ধরে রেখে)। চুক্তি ও শর্তাদি | গোপনীয়তা শর্তাবলী