বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

849

Published on মার্চ 27, 2021
  • Details Image

২৬মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী। আজ শৃঙ্খল মুক্ত হওয়ার দিন। এই দিনটিকে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর। কর্মসূচিসমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাগরনের গান প্রচার, সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলা ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে মানবভোজ বিতরণ, বেলা ৪.৩০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে বর্ণিল আতশবাজির মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, আজ ২৬ শে মার্চ আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করছি। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করলাম। আজ শৃঙ্খল মুক্ত হওয়ার দিন। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে শৃঙ্খল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন, দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা। তাঁর নির্দেশেই বাঙ্গালী সেই দিন পাকিস্তানী শাসকের অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণপণ যুদ্ধে। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। স্বাধীন দেশে মুক্ত আকাশে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডয়ন হয়েছিলো। পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন দেশ। দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা আজও আমাদের মাঝে বর্তমান তাঁদের প্রতি আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আজ আমরা এক মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। সারা দেশ আজ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ৭মার্চের যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তারই প্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়েছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর দেখা সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আজ তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আমরা যতটুকু না ভেবেছিলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চেয়েও অধিক উন্নয়ন করে দেখিয়েছেন। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু সহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি একটি কথা বারবারই বলি, দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন ও জাতিকে স্বপ্ন দেখান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের। যা একের পর এক বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব জাতীয় ভাবে জাতি যখন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করছে, যখন বিশ্বনেতারা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে অংশগ্রহন করে তাদের মূল্যবান মতামত আমাদের ভাগ করে আমদেরকে মহিমান্বিত করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের দেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে অংশগ্রহন করে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঠিক সেই সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠি পাকিস্তানের অর্থায়নে দেশে অরাজকতা ও নাশকতার অশুভ পাঁয়তারা করছে। কিন্তু তাদের এই দুঃস্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন হবে না, রাজপথেই তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তারা কোনদিনও সফল হতে পারবে না। তাই আপনাদের সর্বোক্ষণ সজাগ থাকতে হবে।

কর্মসূচীসমূহে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, আইন সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ সিদ্দিক আলম, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, এনামুল হক কলিন্স, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, অ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, অ্যাড. শামিমা আক্তার খাতুন, তোজাম্মেল হক বাবলু, মুজিবর রহমান, ইসমাইল হোসেন, আলিমুল হাসান সজল, বাদশা শেখ, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, মাসুদ আহম্মেদ, কে এম জামান জুয়েল, আশীষ তরু দে সরকার অপর্ণ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোকসেদ উল আলম সুমন, নগর সৈনিক লীগের আহ্বায়ক সুমন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক আইয়ুব আলী সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত