জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

558

Published on মে 1, 2021
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ,আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। সভায় এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। সে সময় তাঁর দুই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তাঁরা রেহাই পায়।

পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঝুকি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সে সময় কুলাঙ্গার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছিলো। এমন পরিস্থিতে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলেন, সেই চ্যালেঞ্জেই বাংলাদেশের ভাগ্য পাল্টে যায়। পঁচাত্তরের ঐ ঘৃনিত ঘটনা যদি না হতো, বঙ্গবন্ধু যদি আরও বেশী বছর বেঁচে থাকতেন তবে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিনত হতো। আজ তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার শক্তিকে একত্রিত করতে ও দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আব্দুর রাজ্জাক বাকশাল তৈরীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতায় যাওয়া থেকে আটকে রেখেছিলো। এরশাদ সরকারের সময়ও সেনাশাসনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বাধা দেওয়া হয়েছিলো। ১৯৮৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। অতঃপর সকল বাধা অতিক্রম করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী হন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় তিনি দেখিয়েছিলেন দেশ চালানোর অভিনব দক্ষতা। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ তিনি সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার ৪০ শতাংশ থেকে এখন ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। সকল পরিসংখ্যানে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ্ যেন তাঁকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করেন।

এসময় ডাবলু সরকার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। সে সময় তাঁর দুই কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে বসবাস করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যায়। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন দেশে ফিরে আসেন তখনও ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল, আবার ৮১ সালের আজকের এই দিনে যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন তখনও ঝড়-বৃষ্টি দেখা গিয়েছিলো। কাকতালিয় ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম সহ সবকিছুতেই বাবা ও মেয়ের মিল ছিলো। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আজ তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই সোনার বাংলার তৈরীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ্ যেন তাঁকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ধর্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফ ম আ জাহিদ, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, মাসুদ আহম্মেদ, কে.এম জুয়েল জামান প্রমুখ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত