মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র বিবৃতি

825

Published on আগস্ট 29, 2021
  • Details Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা অতিমারি মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যেখানে হিমশিম খেয়েছে সেখানে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি’র গৃহীত সময়োপযোগী নীতি ও পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায় সফলভাবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। অতি সংক্রমিত প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ জারি করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ফলে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে অপূরণীয় ক্ষতি হলেও তাদের এবং তাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জীবন বাঁচাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাবিশে^ স্বীকৃত প্রক্রিয়ার একটি অংশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার সর্বদাই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে আমাদের দেশেও সেই প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেকক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে শিক্ষার কার্যক্রম চলমান রাখার পথ সুগম হয়েছে। করোনার ফলে সৃষ্ট এই সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ও মানুষের জীবন রক্ষায় অতি দ্রুততার সাথে টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে শেখ হাসিনার সরকার। এই টিকাদান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যখন সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তখন একটি মতলবি মহল এটিকে নসাৎ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা স্থায়ী করার লক্ষ্যে ছাত্ররাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। জিয়াউর রহমান ‘হিযবুল বাহার’ নামক প্রমোদ তরীতে নিয়ে মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র ও টাকার বিস্তার ঘটিয়ে সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করেছিল। বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের আচরণ ও উস্কানিমূলক বক্তৃতা—বিবৃতি পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় যে, তারা দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের উপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা এবং মেট্রোরেলের যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় যার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী কোন ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না, যে কোন ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, অসুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতির বিপরীতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্ররাজনীতিকে নিয়মিত ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন, ছাত্রসমাজ কারো স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার হবে না। শিক্ষা এদেশের মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সকল সংকট মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এদেশের মানুষের জীবন—জীবিকা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার যখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে তখন বিএনপি ও তাদের দোসররা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকার ও দেশবিরোধী নানা গুজব ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

তারিখ: ২৯ আগস্ট ২০২১ 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত