‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের পর গ্রাম ও শহরের বৈষম্য থাকবে না

493

Published on অক্টোবর 31, 2021
  • Details Image

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের পর গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। আর তা বাস্তবায়নে সকল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে 'আমার গ্রাম আমার শহর' কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। গুচ্ছভিত্তিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে হবে আবাসিক এলাকা, কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সকল অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। এতে করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সুয়ারেজের লাইন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। মানুষকে গ্রামে রাখতে হলে সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা যেমন-কর্মসংস্থান, ব্যাংক-বীমা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ স্যানিটেশনসহ সকল ধরনের সুবিধা সরবরাহ করতে হবে।

গ্রাম-গঞ্জে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনো অনিয়ম করলে তাদেরকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। 
আধুনিক কৃষি চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদে উৎপাদন বেড়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ও বগুড়ায় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুই জায়গায় সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবতী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ ও রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইয়াহো।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত