গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদের উদ্যোগে করোনা টিকা পেলো বেদে সম্প্রদায়

805

Published on ফেব্রুয়ারি 20, 2022
  • Details Image

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামে সুতিয়া নদীর পাড়ে ৭০ ঘরের বেদেপল্লী। এই বেদেপল্লীর সদস্য সংখ্যা ১৮০ জন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তারা রয়েছেন এখানে। এরপর চলে যাবে অন্য কোথাও।

বেদে জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য ও সচেতনতা উপেক্ষিত। সুতিয়া নদীর পাড়ে এই বেদেপল্লীর অবস্থান জেনে সেখানে থাকা সদস্যদের করোনার টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

তাঁর উদ্যোগের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বিকেলে সেখানে দেওয়া হয় করোনার প্রথম ডোজ। সংসদ সদস্য ওই বেদেপল্লীর প্রত্যেক সদস্যকে দেন শীতবস্ত্র, বিতরণ করেন শুকনো খাবার।

সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, ‘একটি জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত রয়ে গেলে সারা দেশে সুরক্ষা সম্ভব নয় কখনোই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচি দিয়েছেন, ‘আমার একজনও মানুষও গৃহছাড়া থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ‘দেশের একজন মানুষও করোনার টিকার আওতামুক্ত থাকবে না। ’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের সমান মর্যাদা দেয়। ’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মত বেদে সম্প্রদায়ের অনেকেরই জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ নেই। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ নেই তাদের। এরই মধ্যে আজ সকালে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে থাকা বেদে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে করোনার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে বলেন। পরে বিকেলেই কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই তাদের টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার পর দেওয়া হয় একটি কার্ড, ওই কার্ডের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন তারা।

নিবন্ধন ছাড়াই করোনার টিকা পেয়ে খুশি বেদেপল্লীর সদস্যরা। বেদে আছিয়া খাতুন জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে দুই সপ্তাহ আগে এখানে এসেছি। সপ্তাহ খানেক পর অন্যকোথাও চলে যাব। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা করুন্যার (করোনা) টিকা পামু চিন্তাই করি নাই।’

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত