2225
Published on আগস্ট 12, 2022করোনা মহামারি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে। এসব সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার সেঙ্কশন এর কারণে প্রত্যেকের জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে কারন এর ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। ২০২০ সালে যে গ্যাস প্রতি ইউনিট ৪ মার্কিন ডলারে কেনা গেছে, তা এখন বেড়ে ৩৮ ডলার ছাড়িয়েছে। দেশের বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসনির্ভর।ফলে গ্যাস সরবরাহের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেখানে কোনো সময় বিদ্যুৎ যায় না, সেখানেও নানাভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। জাপানের আয় বাংলাদেশের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে।
যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছেঃ বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ টাকা থেকে ১৩৯ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মার্চে তা বেড়ে ১৫৬ দশমিক ৩ ডলারে গিয়ে পৌঁছে। তেলের এ দাম বৃদ্ধি ছিল ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই দেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি।ফলে ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুলাই) জ্বালানি তেল বিক্রয়ের (সব পণ্য) আট হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের এমন পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও দাম বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে হংকংকে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম (বাংলাদেশি টাকায়) ২৬০ দশমিক ৭৫ টাকা ও অকটেনের দাম ২৮৪ দশমিক ৭২ টাকা, সিঙ্গাপুরে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১৮৯ দশমিক ৮৭ টাকা ও অকটেনের লিটারপ্রতি দাম ১৯০ দশমিক ৪৫ টাকা, পাকিস্তানের ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১০৩ দশমিক ৭১ টাকা ও অকটেনের দাম ১০৬ দশমিক ৬৪ টাকা, নেপালের ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১২৭ দশমিক ৮২ টাকা ও অকটেনের লিটারপ্রতি দাম ১৩৪ দশমিক ৫৫ টাকা, চীনে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১১৮ দশমিক ৬৩ টাকা ও অকটেনের দাম ১৩১ দশমিক ৯৯ টাকা, ভারতে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম ১১০ দশমিক ৯৫ টাকা ও ১২৩ দশমিক ৬৫ টাকা।বর্তমানে বিশ্বের ২য় সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৫ টাকা। যা গত মে মাসে ছিল ৫৫ টাকা। ফ্রান্সে প্রতি লিটার অকটেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২০ টাকা, পেট্রোল ২৩২ টাকা ও ডিজেল ২২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আয়ারল্যান্ডে ২ মাস আগে যেখানে পেট্রোল ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩০ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রা ১৪৪ টাকা। অস্ট্রেলিয়ায় দফায় দফায় বাড়ছে তেলের দাম, সেখানে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫০ টাকা আর ডিজেল ১৬০ টাকায়। জার্মানিতে ডিজেলের বর্তমান দাম লিটার প্রতি ১৮৯ টাকা ও পেট্রোল ১৭৫ টাকা। মালদ্বীপে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০২.৬১ টাকা ও ডিজেল ১০৩.৯৮ টাকা। নেপালে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১৩৫.৩৬ টাকা, ডিজেল ১২৮.৬৩ টাকা এবং কেরোসিন ১২৮.৬৩ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশে ৫০% থেকে ৫৫% পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য এক টাকাও বৃদ্ধি করেনি।
এমন বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো আমাদের দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।বাংলাদেশে তেলের সরবরাহের কোনও প্রকার ঘাটতি নেই। এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে যাতে কোনও প্রকার ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি না হয় তাই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুধুমাত্র বাংলাদেশেই কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে বলা হয়েছে?
আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম দশগুণ বেড়েছে ও তেলের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে, ফলে উন্নত রাষ্ট্রগুলোও বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে। জ্বালানি সংকটের কারণে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কায় জাপান এবং ফ্রান্সেও জনগণের প্রতি একই আহ্বান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও এর সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে ভারত।
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা কমেনি, কমেছে জ্বালানী সরবরাহঃ
দেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ পেতো মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। চলমানে সংকটে এটি ভাবার অবকাশ নেই যে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা কমে গিয়েছে। বস্তুত দেশে বিদ্যুতের সংকট হয়নি, উৎপাদনের সক্ষমতাও কমে যায়নি। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সাশ্রয়ী হতে রুটিন মেপে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে হারিকেন উৎসবে মেতে উঠেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা। বিদ্যুতের সমস্যা শুধু বাংলাদেশে একা নয়, এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। আবার বিএনপির কোনো কোনো সিনিয়র নেতা দেশের লোডশেডিংয়ের ঘটনাকে শ্রীলংকার সঙ্গে তুলনা করছেন। বাংলাদেশ শ্রীলংকা হওয়ার পথে বলেও আজগুবি ও ভুতুড়ে মন্তব্য করছেন।তবে বাস্তবে বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার লোডশেডিংয়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। শ্রীলংকার বিদ্যুৎখাত সম্পূর্ণ ডিজেল নির্ভর। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাত শুধু ডিজেল নির্ভর নয়। আমাদের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ডিজেল বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ছাড়াও অনেকগুলো বিকল্প উৎপাদন রয়েছে।
ভয়াবহ সংকট যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেঃ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে জ্বালানি তেলের দাম ৭০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে জ্বালানি তেলের মূল্য গত বছর বাড়ায়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। অব্যাহতভাবে এমন ভর্তুকি দেওয়া কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। গত তিন মাসে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।রাশিয়ার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বে জ্বালানি, খাদ্য-সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বে সকল দেশে সংকট কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধীদল সমালোচনা করছে সরকারের।
অন্যের যুদ্ধ-প্রতিহিংসার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশঃ
এখন বিশ্ব চলে মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ায় যেসব দেশ জ্বালানি তেল, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য এবং ধাতব পণ্য রফতানি করে, তাদের পণ্যের দাম ও রফতানির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।গত দুই মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৮৬.৫০ থেকে ১০২.০০-এ নেমেছে। অর্থাৎ টাকার মানের ১৫.৫০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। যদিও দ্য ইউএস ডলার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েন, ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইউরো, সুইস ফ্রাঁ, চীনের ইউয়ানেরও অবমূল্যায়ন ঘটেছে।নিছক রাজনৈতিক বিরোধপ্রবণতা ও দীর্ঘদিনের অভ্যাস এবং চর্চা থেকে বিএনপি দলীয় রাজনীতিকদের দেখা যাচ্ছে টিভি টকশো ও জনসভায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করতে, তির্যক মন্তব্য করতে। এ-যেন বাজারে আগুন লাগলে একশ্রেণির মানুষের জন্য আলুপোড়া খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার মতো ঘটনা। কিন্তু তারা একটি বিষয়কে হয়তো অনুভব করতে পারছেন না অথবা পারলেও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত স্বীকার করছেন না। বিষয়টি হচ্ছে, অর্জনের জায়গায় আমাদের রেটিং অনেক ওপরে। প্রাসঙ্গিক কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে সত্য। আমদানির খরচ প্রদান করলে কিছুদিনের জন্য রিজার্ভ কমে গেলেও অব্যাহত রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানি আয়ের কারনে সেটি আবার নিরাপদ অবস্থানে ফেরত আসে। মাসভিত্তিক হিসাব পর্যবেক্ষন করলেই তা বুঝতে পারা যায়।
কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের মতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯১টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪১তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু ভারত। এ ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশ। গ্লোবাল ইকোনমিক ইনডেক্স বলছে, নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়ামের মতো অনেক উন্নত দেশের চেয়েও আমাদের রিজার্ভ বেশি। কিন্তু অনেক অর্জনের মধ্যেও নিষ্ঠুর বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের মতো পরাক্রমশালী তো আমরা নই। সুতরাং যখন আমরা পৃথিবীর আর দশটা দেশের ওপর নির্ভরশীল, তখন এই বৈশ্বিক সংঘাত ও সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আসা জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক ও মঙ্গলজনক। এই নীতির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ না করে বিরোধিতামূলক তির্যক মন্তব্য ও হাস্যরস করা দেশদ্রোহিতার শামিল। কেননা, বিএনপির ওই নেতারা দেশের সার্বিক মঙ্গলের কথা ভাবছেন না, তারা ভাবছেন কীভাবে ধোঁয়াশা তৈরি করে ক্ষমতা দখল করা যায়।
করোনাকালে সংকটে বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। সংকট উত্তরণে দৃঢ়চেতা মনোভাব ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করেছেন। আন্তর্জাতিক মহলে হয়েছেন ব্যাপক প্রশংসিত। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনে ২০২০ সালে প্রকাশিত ‘লিডারশিপ স্ট্র্যাটেজি’ শিরোনামে করোনা মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামও করোনাকালে তার ভূমিকার প্রশংসা করেছে। কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড শেখ হাসিনাকে বিশ্বের শীর্ষ তিনজন অনুপ্রেরণা প্রদানকারী নারী নেত্রীর একজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে তার নেতৃত্বে সংকট কাটিয়ে অদম্য গতিতে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
দেশের মানুষের ভালো অবস্থা ও দেশের উন্নয়ন চায় না বিএনপিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের মানুষ ভালো থাকুক, দেশের উন্নয়ন হোক, এটা চায় না বলেই বিএনপি-জামায়াত সরকার পতনের আন্দোলন করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণে এই দলগুলোর কোন কর্মসূচি নেই।
আসলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিক বলেছেন।বাংলাদেশ জনগণ ভালো থাকুক এটিই বিএনপি চায় না।যার ফলে দেশের প্রতিটা সংকটে বিএনপি জনগণের পাশে না দাড়িয়ে রাস্তায় সরকার পতনের বিক্ষোভ এর নাটক করে,এবং গণমাধ্যমে সরকার পতনের কথা বলে।রাজনীতি মানে অধিকাংশ মানুষ বুঝে জনগণের সেবা করা।এবং জনগণ এর চাহিদাগুলো সঠিক নেতৃত্বে পূরণ করা।কিন্তু তার বিপরীতে বিএনপির অবস্থান।দেশ যখন উন্নয়ন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি তখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। বারবার তোতাপাখির মতো একটি বুলিই আওড়ে যাচ্ছে তারা। সাধারন মানুষের মনে অকারনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত তারা। বিএনপি’র নেতাদের কথা শুনলে মনে শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারাই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। কারণ বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যেই দল জনগণের কথা চিন্তা করে না।
বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে তারা দেশের জনগণের জন্য নয়, রাজনীতি করে ক্ষমতার লোভে। তারা অতীতে যে অপকর্ম করেছে তা দেশবাসী ভোলেনি। ভুলবেও না কোনোদিন। যারা ক্ষমতার লোভে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে তারা কোনোদিন দেশ ও দশের ভালো চায় না। এটা জনগণ জানে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করেছে দেশের মানুষ।