২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই গরিবের পেটে লাথি, ভিজিএফ-কার্ড লুটপাট জামায়াতের

815

Published on অক্টোবর 5, 2022
  • Details Image

 

২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার গঠনের পরপরই সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন ও লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ২০০২ সালের শুরুতেই পাবনার গরিব ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ১০০ ভিজিএফ-কার্ড জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেয় জামায়াতের সংসদ সদস্য মাওলানা আবদুস সোবহান। প্রতিজন দুস্থ ব্যক্তি এই কার্ডের আওতায় ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু পাবনা পৌরসভার কমিশনারদের পাশ কাটিয়ে এমপি সোবহানের এপিএস সেই চাল এমপির নির্দেশ মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীদের তালিকা অনুসারে বিতরণের নির্দেশ দেয়। এরপর জামায়াতের এমপি সোবহান নিজেও সেই চাল দ্রুত কর্মীদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেয়, এমনকি গরিব-দুস্থদের বাদ দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নামে নতুন করে ভিজিএফ কার্ড তৈরি করার আদেশও দেয় সে।

২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

সংসদ সদস্য সোবহানের নির্দেশ পাওয়ার পর কমিশনারদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু কমিশনাররা জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তালিকা অনুসারে ভিজিএফ-এর কার্ড ও চাল বিতরণ করার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু এই তালিকা দেওয়ার অধিকার সংসদ সদস্যর নাই। এটি করা হরে প্রকৃত গরিব ও দুস্থরা বঞ্চিত হবে। এর মাধ্যমে শুধু জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা লাভবান হবে।

কমিশনাররা জামায়াতের এমপি সোবহানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, কমিশনারদের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেয় সেই এমপি। গরিব-দুস্থদের জন্য ৬০০ কার্ড রেখে বাকি ১৫০০ কার্ড জামায়াতের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতরণের প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু তাতে কমিশনাররা রাজি না হওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। গরিবদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর থেকে পৌরসভায় চাল এসে পড়ে থাকলেও, এমপির হস্তক্ষেপের কারণে তা বিতরণ করতে পারেনি পৌরসভা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত