ভোটার তালিকা ঠিক না করে, শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ছাপিয়ে দেশের পৌনে দুই'শ কোটি টাকা অপচয় করেছিল বিএনপির আজিজ কমিশন

1134

Published on অক্টোবর 10, 2022
  • Details Image

২০০৭ সালে ২২ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন করতে গিয়ে পৌনে দুইশ কোটি টাকা অপচয় করে বিএনপি'র মদদপুষ্ট আজিজ-কিবরিয়ার নির্বাচন কমিশন। তিন বারে ভোটার তালিকা প্রনয়ন, নির্বাচনি ফরম, ব্যালট পেপার সব মিলিয়ে এই টাকা খরচ করে আজিজ-কিবরিয়া কমিশন। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে নির্বাচন বাতিল করতে বাধ্য হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। 

২০০৭ সালের ১৯ শে জানুয়ারি প্রথম আlলোয় প্রকাশিত 'স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন না নির্বাচন কমিশনাররা' শীর্ষক এক প্রতিবেদনের সংবাদে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকার কাজ শুরু থেকে সর্বশেষ ব্যালট পেপার ছাপা পর্যন্ত পৌনে দুই শ কোটি টাকা অপচয় হয়। তিন দফায় করা ভোটার তালিকার কাজেই সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। আর নির্বাচনী ফরম, ম্যানুয়েল, ব্যালট পেপার, পোস্টার ছাপার কাজে সরকারের আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল হওয়ায় এসব খরচ কোনো কাজেই লাগবে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভোটার ভালিকা তৈরি, ব্যালট পেপার ছাপানোসহ নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজে পৌনে দুই শ কোটি টাকা খরচ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটার তালিকা করতে ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না।

প্রতিবেদনে বলা হয় এই পরিস্থিতিতে দেশে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আরো জোরালো হয়েছে। তারপরও স্বেচছায় পদত্যাগ করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনাররা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের কথা ভাবছেন না বলে জানান।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের আহবায়ক মোজাফফর আহমদ এই ঘটনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অদক্ষতা আর অযাগ্যতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকেই রাষ্ট্রের এ অর্থ অপচয়ের দায় নিতে হব। কারণ তিন তিনবার ভোটার তালিকা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই কাজে নির্বাচন কমিশন আইন লংঘন করেছে বলেও জানান তিনি।

ভোটার তালিকা ঠিক না করে ব্যালট পেপার ছেপে এই বিতর্কিত ও খেলনা কমিশন আরও অযৌক্তিকভাবে গায়ের জোরে নির্বাচনের কাজ চালানোর চেষ্টা করেছে। ফলে রাষ্ট্রের এই বিপুল পরিমাণ অর্থনাশ হয়েছে।

২০০৭ সালে টপ অফ দ্যা টপিক ছিল সাধারণ জনগণের মুখে আজিজ নির্বাচন কমিশন। এত সমলোচনার পরেও পদত্যাগ করেন নি আজিজ-জাকারিয়া।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনাস্থার পর তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বর তিন মাসের ছুটিতে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এম এ আজিজ। এরপর একইভাবে আন্দোলনের মুখে ছুটিতে যান আরেক বিতর্কিত কমিশনার স ম জাকারিয়া।

সেই নির্বাচন কমিশন এর সাথে কোন রাজনৈতিক দল আলোচনায় বসতেও রাজি ছিল না।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত