বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি: ২০০১ সালে এক জেলাতেই ১০ দিনে ৮ খুন, প্রকাশ্যে ৩ ধর্ষণ

1048

Published on অক্টোবর 11, 2022
  • Details Image

২০০১ সালের ২০ অক্টোবর সরকার গঠনের পর দেশের প্রতিটি অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এমনকি শিশু ধর্ষণ, মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণের মতো বিকৃত ও ঘৃণ্য কর্মে মেতে ওঠে তারা। এছাড়াও সাধারণ মানুষের ব্যবসা ও জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, প্রকাশ্যে মারধর চালাতে থাকে। খালেদা জিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এসব বর্বরতা থামাতে কোনো নির্দেশনা না থাকায়, ভুক্তভোগীরা পুলিশের সাহায্য চেয়েও বারবার হতাশ হয়েছে।

১৮ নভেম্বর, ২০০১ সালের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় সাতক্ষীরার পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা যায়, ১০ দিনে জেলা শহরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে ৮ জন মানুষ। এরমধ্যে শ্যামনগরে পতড়াখোলা গ্রামের হোসেন আলী গাজীর ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে কানের ভেতর রড ঢুকিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এভাবে তারা যে শুধু প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে তাই নয়, চাঁদা ও জবর-দখলের ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যেও খুন-খারাপি শুরু করে এই সন্ত্রাসীরা।

এদের ভয়ে রাতে ঘুম হারাম হয়ে যায় অনেক গ্রামের বাসিন্দাদের। মধ্যরাতে বাড়িতে আক্রমণ করে গৃহের নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করতো তারা। ১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদরে বিনারপোতা গ্রামের একজনের বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ২ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা। ২ নভেম্বর কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামে এক বিধবার ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে মায়ের সামনে ধর্ষণ করা হয়। ৩ নভেম্বর আশাশুনির রাজপুর গ্রামে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয় এই লম্পটদের দ্বারা।

দেশজুড়ে খুন-ধর্ষণ-দখলের নৈরাজ্য শুরু হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি-জামায়াত সরকার। উল্টো দলীয় নেতাকর্মীদের এসব অপকর্মে বাধা না দিতে পুলিশ স্টেশনগুলোকে বার্তা পাঠানো হয় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে। ফলে এসব ঘটনায় থানা-পুলিশের সাহায্য চাইলেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত