বিএনপি-জামায়াত আমলে বিদ্যুৎ খাত: এক মন্ত্রীর লুটের বিরুদ্ধে অন্য মন্ত্রীর অভিযোগ, দুর্নীতির কেন্দ্রে তারেকের খাম্বা লিমিটেড

1695

Published on অক্টোবর 14, 2022
  • Details Image

২০০১ সালে বিএনপি-জাাময়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পরবর্তী ৫ বছরে, তাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়। প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে ওঠে দেশের মানুষ। এক পর্যায়ে দুর্নীতির দায়ে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদকে। নতুন প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) আনোয়ারুল কবীর তালুকদার দায়িত্ব আসার পর প্রকাশ্য ঘোষণা করেন- আগের মন্ত্রীর সময় প্রতিদিনই দুর্নীতি হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ খাত বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

২০০৬ সালের ৩০ জুলাই দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় মন্ত্রীদের বক্তব্যসহ এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। জানা যায়, বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট চালানোর কারণে দেশ টানা কয়েকমাস ধরে বিদ্যুৎহীনতায় অন্ধকার হয়ে পড়ে। দিনের বেলাতেও রাজধানীর স্কুল গুলোতেও মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্লাস নিতে হয়। কৃষকরা বিদ্যুতের অভাবে জমিতে সেঁচ দেওয়া বন্ধ রাখে। ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। অন্ধকার রাতে অপরাধ বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে শুরু হওয়া তুমুল বিক্ষোভ সামাল দিতে ২০০৬ সালের ২১ মে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদকে পদচ্যুত করতে বাধ্য হয় সরকার।

এরপর, নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রণায়ের নথি পর্যবেক্ষণ করে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) আনোয়ারুল কবীর তালুকদার বলেন, 'আগের মন্ত্রীর সময়ে প্রতিদিনই দুর্নীতি হয়েছে। মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় কর্মচারীরাও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। দুদিন পরপর বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রকল্পের কোনো টাকার হিসাব নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার হরিলুট ও জালিয়াতি করা হয়েছে।'

তবে নতুন প্রতিমন্ত্রীর সেই দাবি অস্বীকার করে পদচ্যুত প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, 'নতুন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ছিলেন, তখন তিনি চাইলে এসব অনিয়ম ধরতে পারতেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সব তথ্য তার জানার কথা। তখনই বলতে পারতেন। এখন এভাবে এসব বলা ঠিক না।

অভিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'ঠিকভাবে কাজ করার লক্ষ্য ছিল। তবে পারিপার্শ্বিক চাপ ও নানাবিধ জটিলতার জন্য কিছু করতে পারিনি।' মূলত, তারেক রহমানের নির্দেশে হাওয়া-ভবন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হরিলুট চালানো হয় বিদ্যুৎ খাতে। এছাড়াও খাম্বা লিমিটেডের মাধ্যমে দেশজুড়ে শুধু বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারেক রহমান। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হওয়ায় সরকারের কেউ তারেকের কাজে বাধা দেওয়ার সাহস পেতো না।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত