২০০১ থেকে ২০০৬ সাল: ঋণ দিতে বাধ্য করা হতো ব্যাংককে, হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের হাজার কোটি লুটপাট

710

Published on অক্টোবর 16, 2022
  • Details Image

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ঋণের নামে ব্যাংক সেক্টরে সুপরিকল্পিত লুটপাট চালানো হয়েছে তারেক রহমানের অফিস হাওয়া-ভবন থেকে। সোনালী ব্যাংকের রমনা ও নারায়ণগঞ্জের শাখা থেকে নিয়মবর্হিভূতভাবে ঋণের নামে লোপাট করা হয় ৪০০ কোটি টাকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ এস্কান্দারের প্রতিষ্ঠান উডল্যান্ড, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ জসীম উদ্দীনের প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ট্রেড, হাওয়া ভবনের লোক হিসেবে পরিচিত আকরাম হোসেনের মাস্ক অ্যাসোসিয়েট; জিয়া পরিবারের মালিকানাধীন রহমান ইন্টারন্যাশনাল, রহমান ট্রেডিং প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অর্থ লুটপাট করা হয় ব্যাংক থেকে।

২০০৭ সালের ১ আগস্ট দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ব্যাংকখাতে দুর্নীতিবাজদের ধরপাকড় শুরু হয়। তখন ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বনানীর হাওয়া-ভবন থেকে তালিকা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে এই ঋণ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। পরে আর ওই ঋণ শোধ করেনি প্রভাবশালীরা। এই ব্যবসায়ীরা বিএনপির সরকারের হাই-কমান্ডের ঘনিষ্ঠ। তাদের হয়ে ব্যাংকারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতো ব্যাংকেরই সিবিএ নেতা বাকির হোসেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ব্যাংক খাতে হাজার কোটি টাকা ঋণ লেনদেনে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি করা হয়। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের তদন্তে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। শাখা ব্যবস্থাপকের মৌখিক নির্দেশে এসব ঋণ ছাড় করতে বাধ্য করা হতো কর্মকর্তাদের। ফলে কাগজে স্বাক্ষর করার কারণে ফেঁসে গেছেন অনেক কর্মকর্তা।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত