২০০১ থেকে ২০০৬: অসহায়দের জন্য বরাদ্দ টিন এবং ওএমএস-এর চাল লুটপাট করতো বিএনপি-জামায়াত নেতারা

3352

Published on নভেম্বর 4, 2022
  • Details Image

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সরকারে থাকার সময় দেশের গরিব ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দ টিন চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দিতো অথবা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিতো বিএনপি-জামায়াত নেতারা। এমনকি অসহায় মানুষদের জন্য সরকারের অনুদানে দেওয়া ওএমএস-এর চাল পর্যন্ত নিজেদের দলীয় কর্মীদের মধ্যে তালিকা করে বিতরণ করতো তারা।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ ওবং ১৯ মার্চ দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এমনকি ২০০১ সালে নির্বাচনে জেতার পরপরই, ২০০২ সালে পাবনায় জামায়াতের এমপি দুস্থদের পরিবর্তে জামায়াত-শিবির কর্মীদের তালিকা দিয়ে তাদের কাছে ওএমএস-এর চাল দেওয়ার জন্য চাপ দেন উপজেলা চেয়ারম্যানকে। এটি নিয়ে চেয়ারম্যান ও এমপির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় চাল আটকে থাকে গুদামে।

এমনকি জোট সরকারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, ২০০৭ সালে সিলেটের প্রভাবশালী বিএনপি-জামায়াত নেতাদের পুকুর থেকেও শত শত বান্ডিল ত্রাণের টিন উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, শুধু কুড়িগ্রাম থেকেই পৌনে তিন হাজার বান্ডিল ত্রাণের টিন উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমপিদের মাধ্যমে এই টিন দুস্থদের জন্য বিতরণের কথা থাকলেও, তা বিতরণ না করে নিজেরা ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা।

ত্রাণ উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর উলিপুরে শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের মধ্যে দেওয়া হয় প্রায় ১০০ বান্ডিল টিন। ৪৩ জনের নামে এই টিন বরাদ্দ নেওয়া হলেও সেই তালিকাটি ছিল ভুয়া। কুড়িগ্রাম পৌরসভার কমাত্র ৬ জনকে ১২ বান্ডিল টিন দেওয়ার পর বাকি টিনগুলো লোপাট করে দেওয়া হয়।

এছাড়াও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদকে ত্রাণের টিন আত্মসাতের ঘটনায় আটক করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে টিন উদ্ধার করে পুলিশ। নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেলের বাড়ি থেকেও ত্রাণের টিন উদ্ধার করা হয়। বরগুনা ও বরিশালেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ত্রাণের টিন উদ্ধার করে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত