নির্বাচন এলেই সন্ত্রাস ছড়ায় বিএনপি, শুরু করে লাশের রাজনীতি

1031

Published on জানুয়ারি 24, 2023
  • Details Image

মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের কারণে জনগণের ভোটের ওপর আস্থা নেই বিএনপি-জামায়াত জোটের। মানুষ তাদের ভোট দেবে এই বিশ্বাস নেই নিজেদের ওপর, একারণে নির্বাচন এলেই গুলি-বোমা-অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা।

প্রতিটি নির্বাচনের আগে তাই নাশকতার মাধ্যমে মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখা, ছাপ্পা ভোট মারা এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ক্ষমতা দখলের নীলনকশা করে তারা। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি গুলি বর্ষণ এবং আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।

২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এরপরেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও হামলা শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা। এমনকি বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদের লক্ষ্য করেও গুলিবোমা নিক্ষেপ করে তারা। সাধারণ মানুষ যাতে নাশকতার ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যায়, এরপর কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতা দখলের জন্য দেশজুড়ে বর্বর সন্ত্রাস চালানো হয় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে।

৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর পর আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের গাড়ি লক্ষ্য করে ভোলায় গুলি চালায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনার ৩ বিএনপি কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে স্থানীয়রা। এই ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামানের বাড়িতে বোমা হামলা চালায় বিএনপির ক্যাডাররা, পুড়িয়ে দেয় জিপ গাড়ি। এর আগে জেলার লালমোহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। বোরহানউদ্দীনে আওয়ামী লীগের ৬টি অফিস ভেঙে দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও একই দিন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কলমা আওয়ামী লীগ অফিস গুড়িয়ে দেয় এই দুর্বৃত্তরা। এমনকি বিকালে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাতেও হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

বরিশালের আগৈলঝালার সুজনকাঠি গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং মসজিদে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির ক্যাডাররা। ভুক্তভোগী সাত্তার মোল্লার পরিবারের সদস্যরা জানান- বিএনপির ক্যাডাররা বাড়িতে হামলার সময় সাত্তার বাড়িতে ছিলেন না। তখন তারা বাড়ি ভাঙচুর করে টিভি-ক্যাসেট এবং স্টিলের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। যাওয়ার সময় অগ্নিসংযোগ করে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত