বিএনপি-জামায়াত দুঃশাসন: সিন্ডিকেট করে মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপি নেতাদের কালোবাজারি, সারের অভাবে কৃষকরা ধান চাষ করতে পারেনি

599

Published on এপ্রিল 12, 2023
  • Details Image

খালেদা জিয়ার শাসনামলে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীনতার কারণে যেমন সেচের অভাবে জমিতে ফসল পুড়েছে কৃষকদের, তেমনি সার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষুদ্র চাষিরা আবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। বিদ্যুৎ সঙ্কটে সেচের জন্য ডিজেল বা কেরোসিন দিয়ে পাম্ম মেশিন চালানোর বিকল্প উপায়ও ছিল না কৃষকদের, কারণ ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যও সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিয়েছিল বিএনপি নেতারা। ফলে জোট সরকারের এই দুঃসহ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে খাদ্যশস্য উৎপাদন এমনিতেই কমতে থাকে প্রতিবছল, তারমধ্যে সার কালোবাজারি করে কয়েকগুণ বেশি দামে করায় ক্ষুদ্র কৃষকরা অনেক জমিতে চাষাবাদ বাদ দিতে বাধ্য হয়। তারা কৃষিকাজ ছেড়ে দিনমজুর হিসেবে অন্নের সন্ধানে শহরে শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

২০০৪ ২০০৫ এবং ২০০৬ সালের প্রথম সারির পত্রিকাগুলোর সচিত্র প্রতিবেদনে খালেদা জিয়া সরকারের সময়কার এই অমানবিক শোষণ এবং লুটপাটের চিত্র ফুটে উঠেছে। দেখা যায়, কালোবাজারি করে বাজার থেকে সার অদৃশ্য করে ফলতো বিএনপি-জামায়াত নেতারা। এরপর সঙ্কট সৃষ্টি করে সেগুলো অধিকমূল্যে বিক্রি করতো মুষ্ঠিমেয় ধনী কৃষকের কাছে। ফলে অধিকাংশ সাধারণ কৃষকের নাগালের বাইরে চলে যায় সার। এরপর বিএনপি নেতারা নকল সার তৈরি করে সেগুলো কৃষকদের কাছে বিক্রি করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেওয়ার মতো নিষ্ঠুর তামাশায় মেতে ওঠে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসব নকল সারের কারখানা ধরা খাওয়া এবং আসল সার পাচারের সময় চোরাকারবারিরা ধরা খাওয়ার পরেও, বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সারের অভাবে ২০০৪ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলের ৫০ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত

২০০৪ সালের ২১ মার্চের জনকণ্ঠের সংবাদে জানা যায়, টানা দুই সপ্তাহ ধরে সার ও সেচ সঙ্কটের কারণে বরেন্দ্র ও দিয়ার অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার নির্ধারিত ২৯০ টাকা দরের ইউরিয়া সার ৪০০ টাকা দরেও পাওয়া যায়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে। জেলার ৫০ জন সার ডিলারের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং তারা অধিক মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে সারের দাম কৃষকদের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা সারের অভাবে ফসল ফলাতে পারেনি।

২০০৫ সালে নকল সার তৈরি করে কৃষকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর প্রতারণায় মেতে ওঠে বিএনপি নেতারা

২০০৫ সালের ৩ নভেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শাসনামলে সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে টানা পাঁচ বছর ভরা মৌসুমে কৃষকদের পেটে লাথি দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। আসল সারের দাম বৃদ্ধি করে নকল সার তৈরি করে সেগুলো কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করতো বিএনপি নেতারা। সারাদেশ নকল সারে ছেয়ে যাওয়ায় কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হলে, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নকল সারের উপকরণসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর স্থানীয়রা জানান, ওই নামহীন চালের মিলটির মালিক একজন বিএনপি নেতা। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ১৮ ধরনের নকল সার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল সে। উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সিনেমা হলের মালিক তরিকুল ইসলাম রাজীবের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই মিলে ভূষি, ইটের গুড়া ও পোড়া মবিল দিয়ে নকল সার তৈরি করা হতো। জনগণের চাপে একপর্যায়ে পুলিশ হাতেনাতে সব ধরলেও, বিএনপি নেতাদের সুপারিশে শুধু নকল সারের মিলের শ্রমিকদের নামে মামলা দিয়ে মিল মালিকদের নাম অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে দেয়।

১৮ মে তারিখের পত্রিকার থেকে জানা যায়, সারাদেশে সার কালোবাজারির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছিল বিএনপি নেতারা। সিন্ডিকেট করে সারের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ করা, সরকারি সার কৃষকদের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া, নকল সারের কারখানা খুলে অবৈধভাবে ব্যবসা করা, কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা, দাদন ব্যবসা প্রভৃতির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছিল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুসারীরা। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সার চোরাচালান এবং সারের অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষোভ সমাবেশ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।

নেতাকর্মীদের সার কেলেংকারিতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের হাইকমান্ডের সমর্থন থাকায়, তা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব কালোবাজারির কাছ থেকে নিয়মিত কমিশন নিতে শুরু করে বিএনপি নেতারা। ফলে সারের কালোবাজারিদের জনগণ ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করলেও, বিএনপি নেতারা তাদের ছাড়িয়ে নিত। ঠিক সেভাবেই- ভোলার দৌলতখানে মেঘণা নদীতে ৫ হাজার বস্তার সারসহ একটি কার্গো আটক করে জনতা।এসময় কার্গো থেকে ৩ জন আটক হয়। কিন্তু বিএনপি নেতারা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় সেই কার্গো ও আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সার লুটপাটের কারণে ফসল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে

২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জনকণ্ঠের এক সচিত্র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আগের বছরগুলোর মতো শেষ বছরেও সার নিয়ে অব্যবস্থাপনা ও জোচ্চুরি অব্যাহত ছিল। বরং ২০০২ থেকে ২০০৫ সালের সার কেলেংকারির ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পায় ২০০৬ সালে। সরকারের শেষের বছর বিএনপি-জামায়াত নেতারা সর্বোচ্চ লুটপাটের টার্গেট নেওয়ায় সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষকরা। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ইউরিয়ার মজুদ শূন্যের কোঠায় নেমে যায় সেসময়। এমনকি সারের দাবিতে সারাদেশে চাষিদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও সরকার কোনো সারের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি কৃষকদের।

এমনকি মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে ক্ষমতার দখল রাখার জন্য সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকারের এমপি-মন্ত্রীরাও কৃষকদের জন্য সার আমদানি পর্যন্ত করেনি। ফলে ভরা বোরো মৌসুমের শুরুতেই দেখা দেয় তীব্র সার সঙ্কট। ১ লাখ ২২ হাজার টন ইউরিয়ার ঘাটতি নিয়ে বোরো মৌসুম শুরু করার প্রভাব পড়ে ফলনে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সার নিয়ে এই লুটতরাজের কারণে দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক কমে যায়। ফলে সমাজের প্রতিটি স্তরে বেড়ে অভাব-অনটন বৃদ্ধি পায়। এমনকি ১৯৯১ সালে সরকার গঠনের পরও পাঁচ বছর ধরে এভাবেই সার কেলেংকারি করে দেশে মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল খালেদা জিয়ার সরকার।এরপর উল্টো কৃষকদের ন্যায্য আন্দোলন ও দাবিকে দমিয়ে দিতে তাদের নামে সার লুটের মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে সরকার।

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালের সংবাদ থেকে জানা যায়- চাষাবাদের জন্য ন্যায্যমূল্যে সারের দাবিতে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদসহ সরকারি অফিসগুলোর সামনে আর্তি জানাতে থাকে কৃষকরা। বিএনপি নেতাদের দলীয় সুপারিশ ছাড়া সার না পাওয়ায়, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন তারা। এরপর সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের প্রতিটি জেলাতেই সড়ক অবরোধ করেন প্রান্তিক চাষিরা।

এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারির খবরে সার সঙ্কটের কারণ হিসেবে শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ভূমিকার কথা জানা যায়। বলা হয়, শিল্পমন্ত্রীর উদাসীনতার কারণে ভরা বোরো মৌসুমের আগেও পর্যাপ্ত সার আমদানি করেনি মন্ত্রণালয়। এমনকি প্রতিবারের মতো মন্ত্রী ও সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীকেই সারের দায়িত্ব দেওয়ায় শুধু মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে লুটপাট করে। বিপরীতে দেশের কৃষকদের মধ্যে বেড়েছে সারের জন্য তীব্র হাহাকার।

দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সরকারি সার কালোবাজারে বিক্রি এবং কৃষকদের ওপর হামলা চালাতো বিএনপি-জামায়াত সরকার

২০০৬ সালের ২০ এপ্রিলের সংবাদে বলা হয়, দেশজুড়ে তীব্র সার সঙ্কটের মধ্যে রাজশাহীর বাঘায় বিসিসিআই-এর ১০০ মেট্রিক টন সার কালোবাজারের বিক্রি করে দেয় বিএনপি-জামায়াত নেতারা। স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীর তিন ডিলারের সবার বাড়ি শিল্পমন্ত্রী নিজামীর জেলা পাবনায়। ডিলারশিপ স্থানীয়দের দেওয়ার কথা থাকলেও, এদের একজনের বাড়িও রাজশাহীতে নয়। তারা ১০০ মেট্রিক টন সার জনগণের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে ভুয়া ভাউচার দিয়েছে এবং তা কালোবাজারে বিক্রি করেছে। এই সংবাদ প্রকাশ হওয়া এবং কৃষকদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে সরকারি কর্মচারীরা ডিলার কর্তৃক এই অনিয়মের কথা স্বীকার করেন।

১৫ ফেব্রুয়ারির সংবাদ থেকে আরো জানা যায়, দ্বিগুণ দামে কেনা জামালপুরের কৃষকদের সার লুট করে নিয়ে আরো বেশি দামে কালোবাজারে বিক্রি করেছে যুবদল নেতারা। এর প্রতিবাদে সদর উপজেলার হাজীপুর বাজারের সব দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন দোকানিরা। মেস্টা ইউনিয়নের যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক ও পিচ্ছি সামিউলসহ কয়েকজন কৃষকদের ১১ বস্তা ইউরিয়া সার হাজীপুর-মেলান্দহ সড়কে ঘোড়ার গাড়ি থেকে লুট করে নিয়ে যায়। এই যুবদল নেতা এরআগে হাজীপুর বাজারে দোকান ডাকাতির সময় রিকশাচালক হত্যামামলার আসামি। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সরকার কর্তৃক দলীয় সন্ত্রাসীদের জেল থেকে ছেড়ে দিলে, সেই সময় জামিনে বেরিয়ে এসে সার লুটপাট শুরু করে সে।

বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সার কেলেংকারি এবং লুটপাটের প্রতিবাদে সারা দেশের মানুষ বিক্ষোভ করলেও, শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী এই সার সঙ্কটকে মিডিয়ায় সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছে। ২০৬ সালের ১০ মার্চের জনকণ্ঠের সংবাদে দেখা যায়, জোট সরকারের বিগত চার বছরে র সার সঙ্কটের কারণে ধানের উৎপাদন কমে গেলেও সরকার তা স্বীকার করেনি এবং পরিস্থিতির উন্নয়নেরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো জামায়াতের আমির দাবি করেছে যে- দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কোথাও কোনো সঙ্কট নেই। দেশের ৮০ শতাংশ কৃষিজীবীকে নিয়ে এক নির্মম রসিকতায় মত্ত হয়েছিল ১৯৭১-এর ঘাতক আল বদর নেতা নিজামী।

৬ মার্চের পত্রিকা থেকে জানা যায়, সার সঙ্কটের মধ্যে দরিদ্র কৃষকদের ধারের টাকায় কেনা সারের বস্তা লুট করে নিয়ে যেত বিএনপি নেতারা। যশোরের বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কাজী কামরুলে নেতৃত্বে এক ট্রাক সার লুট হলেও তা উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

২ মার্চের পত্রিকা থেকে জানা যায়, যশোরে সার নিতে গিয়ে বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন গ্রামীণ কৃষকরা।

২০০৬ সালের ২ এপ্রিলের পত্রিকা জানায়, লালমনিরহাটে ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে কৃষকদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক বিএনপি নেতা। উপমন্ত্রী দুলুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অন্য সব সারের ডিলারকে পাশ কাটিয়ে একচেটিয়াভাবে সার গুদামজাত করেন তিনি। এরপর ভরা মৌসুমে দাম বাড়িয়ে সেই সার বিক্রি করে কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেন।

১ মার্চের পত্রিকা জানায়, কক্সবাজারের উখিয়ার বিএনপি নেতা ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল সিফাত চৌধুরী মিয়ানমারে সার পাচার করেছেন পুরো জোট সরকারের শাসনামলজুড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে বিডিআর সদস্যরা তার সামনেই এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত