স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ২৯ বছর ছিল জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এই জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্...

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীন দেশে জন্ম নেওয়া কোনো মানুষের পক্ষে পরাধীনতা কী তা কখনোই এবং কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব নয়, এমনকি স্বাধীনতা কী তাও বোঝা সম্ভব নয়। কারণ, তারা পরাধীনতার কষ্ট কখনো বুঝতে পারেনি। যারা স্বাধীনতার জন্য স্বজন হারিয়েছেন, তারা কিছুটা হয়তো অনুধাবন করতে পারেন দিনটিকে। তাও কী বুঝতে...

তুলে ধরতে হবে একাত্তরের বর্বরতার ইতিহাস

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৯ মাস ধরেই চালিয়েছিল মানবেতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ। নারী, শিশুসহ প্রাণ গিয়েছিল ৩০ লাখ বাঙালির। কয়েক লাখ নারী তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন। গ্রামের পর গ্রাম, নগর, জনপদ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এত বেশিসংখ্যক মানুষ হত্যার ঘটনা দ্বিতীয়টি নেই। পাকিস্তানি সেনা...

লোকদেখানো মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কোনো জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শরিক থাকা, সামান্যতম অবদান রাখতে পারা যে কোনো ব্যক্তির জন্য গর্বের ব্যাপার। আমাদের গৌরবের জায়গা হলো এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই এদেশের মানু...

দেশের স্বাধীনতার মর্মার্থ একমাত্র আওয়ামী লীগের কাছেই সুরক্ষিত

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ মহকুমার টুংগীপাড়া গ্রামে বাবা শেখ লুৎফুর রহমান ও মাতা শেখ সায়রা খাতুনের কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন ছোট্ট শিশু 'খোকা'। যার শৈশব-কৈশোর কাটে পিতা-মাতার আদর -স্নেহও ভালোবাসায় টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে। গোপালগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে ...

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা,আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ

সর্বস্তরের মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের। ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনদানসহ এ দেশের স্বাধীনতার জন্য সরকারি হিসেবে দুই লক্ষ, বেসরকারি হিসেবে প্রায় পাঁচ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, পনেরো লক্ষেরও বেশি মানুষ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইস...

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম

১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। ফলে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম বেগবান হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশনা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ মার্চ ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র-খচিত পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশজুড়ে উড়তে থাকে লাল-সবুজ...

মুক্তিযুদ্ধ ছিলো অপরিহার্য

আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য দু’টি বিষয় জরুরি ছিল। প্রথমত যারা এই রাষ্ট্র গঠন করেছে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এবং দ্বিতীয়ত রাষ্ট্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে কি না? কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অন্য একটি গণতান্ত্রিক নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে গেলে প্রথমেই দেখতে হয় যারা নতুন রাষ্ট্র গঠন করেছেন বলে দাবি করছেন, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী কি না?...

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চকে যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করে থাকে সমগ্র বাঙালী জাতি। আবার ১৯৭১ সালে আজকের এ দিনেই অর্থাৎ ২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে প্রচারের নিমিত্তে যোগাযোগের সকল মাধ্য...

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার রেডিও বিবৃতি ও কিছু কথা

মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন: ২৫শে মার্চ ১৯৭১। রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সর্বশক্তি নিয়ে অতর্কিতভাবে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। আক্রান্ত মানুষের আর্তচিৎকার, কামানের আওয়াজ, রকেট লাঞ্চার আর ট্রেসার বুলেটের আগুনের ঝলকানিতে সমগ্র ঢাকা নগরী পরিণত হলো নরকের বিভীষিকা। এমনই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু গোপন ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বলধা গার্ডেন থেকে অথবা মগবাজার বঙ্গবন্...

২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞের পর যেভাবে এলো স্বাধীনতার ঘোষণা

১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে তখন তুমুল অসহযোগ আন্দোলন চলছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মার্চের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও অগ্নিগর্ভ। ৭ মার্চ, ১৯৭১; ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির ...

বিশ্ব মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার খবর

বিশ্ব মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার খবর

বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা: বিশ্বজুড়ে আলোড়ন, ঘাবড়ে যায় পাকিস্তানী জান্তারা

১৯৭১ সালের ৬ মার্চ পাকিস্তানের লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনরের দ্বায়িত্ব দেয় স্বৈরাচার জেনারেল ইয়াহিয়া খান। পরের দিনই গভর্নর ও হানাদার বাহিনীর প্রধান হিসেবে ঢাকায় আসে টিক্কা খান। এর আগে, ১৯৭০ সালে বেলুচিস্তানে গণহত্যা চালানোর জন্য বেলুচিস্তানের কসাই নামে পরিচিত হয়ে ওঠে এই সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্...

স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা

মাহবুবউল আলম হানিফ: বাংলাদেশের স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ৭ই মার্চ। মূলত ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ২৩ বছরের বঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। তাঁর অসামান্য এই ভাষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় মেলে। সেই দিন বাংলা...

বঙ্গবন্ধুর হাতেই শুরু বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা

হীরেন পণ্ডিত: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশের উদ্দেশে রওনা হলেন। ১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করে যাত্রা করেন ঢাকার উদ্দেশে। বিমানটি তেজগাঁও বিমানবন্দর স্পর্শ করে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ বাঙালির ভালোবাসা আর স্নেহের পরশ ভেদ করে পৌঁছাতে বঙ্গবন্...

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি অনন্য রণকৌশল দলিল

স্কোয়াড্রন লিডার (অব) এম সাদরুল আহমেদ খান: বিংশ শতাব্দী মহান নেতাদের কয়েকটি যুদ্ধবক্তব্য উপহার দিয়েছিল, যা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ দিয়েছিল, নেতারা তাদের বক্তৃতা এবং দুর্দান্ত নেতৃত্বের দ্বারা মানুষকে বোঝাতে, সংগঠিত করতে এবং উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। এমনই কয়েকটি উল্লেখ করার মত যুদ্ধবক্তব্য ছিল ১৯৪০ সালের ১৩মে ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী উইনস্টন ...

৭ই মার্চ ও ২৬ শে মার্চকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক ও মিথ্যাচারের ডালপালা

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীঃ কয়েক বছর আগে এ.কে. খন্দকারের সাথে সুর মিলিয়ে ক’জন বুদ্ধিজীবি পত্রিকায় লিখেছেন যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তাদের একজন বদরুদ্দীন উমর, অপরজন কাজী সিরাজ তাদের দু’জনের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী এবং নিজেরা যা লিখেন তাকে নিরঙ্কুশ সত্যি বলে বিবেচনা করেন। তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তারা প্রতিবাদী কণ্ঠ...

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের পরিণতি মহান মুক্তিযুদ্ধ

সময়টা ছিল যুদ্ধমুখর। কয়েক দশক ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম চলছিল। একদিকে কমিউনিস্টদের বিপ্লব চলছিল, অন্যদিকে মুক্তির জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল বিশ্বের বেশ কয়েকটি রণাঙ্গণ। তবে, বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের স্বাধীনতার এই যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত। ১৯৭০ স...

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় জিয়ার অবদান কোথায়?

তাজিন মাবুদ ইমন: পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৭ সালে আর ঠিক ১৯৪৮ সালেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা এসে ঘোষণা করলেন উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা তার প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ শুরু করে দিল। আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ল। পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছি...

যেভাবে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা

এম এ হালিমঃ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ভবন থেকে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ নামে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে এ পর্যন্ত অনেক লেখালেখি হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে ওই ঘটনার বর্ণনা করছি। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের সংবাদ চট্টগ্রামে পৌঁছালে ২৬ ম...