১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' ঘোষণার পর বাঙালি জাতির একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মার্চের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, 'বাঙালির মুক্তির সনদ' ছয় দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দেশজুড়ে ছুটতে থাকেন বঙ্গবন্ধু। সেই ধারাবাহিকতাতেই আপামর জনতার পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের একটি অংশ বঙ্গব...
পাকিস্তানি বর্বর জান্তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি। লাল-সবুজের কেতন ওড়ে বাংলার মাটিতে। একদিকে ত্রিশলক্ষ শহীদের লাশের স্তূপ, চার লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের আহাজারি; অন্যদিকে পাকিস্তানি দানবদের হাত থেকে বাংলার মাটি ও সাত কোটি মানুষের চির মুক্তি; হাজার বছরের শৃঙ্খলভাঙার উল্লাসে যখন ঢাকা পড়ে ...
পঞ্চাশ পেরোনো বাংলাদেশে ইতিহাসের সেই অগ্নিসাক্ষীদের সংখ্যা কমে আসছে ক্রমেই। আজও যারা নতুন প্রজন্মের মাথার ওপর ছায়া হয়ে আছেন, তাদের স্মৃতিতে বাঙালির সেই বিজয়লগ্ন জীবনের আর সব কিছুর চেয়ে দামী। “এই আবেগটা বলে বোঝানো মুশকিল। ঢাকা শহর কিন্তু প্রায় বিরান শহর ছিল। কিন্তু যে যেখানে ছিল রাস্তায় বেরিয়ে আসছে, বিজয় উল্লাসের সঙ্গে বেদনাটাও ছিল,” বলছিলেন মুক্তিয...
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটেছে যার নেতৃত্বে, সেই মহান মানুষটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ দুই যুগের সংগ্রাম শেষে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর বাঙালি। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে পড়ে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই রণাঙ্গণ। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে, ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের ব...
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয়ের পর থেকেই বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা শুরু করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু গণমানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা বুঝতে পারেন। এরপর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তত করতে থাকেন জনগণকে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই পাকিস্তানি প্রশাসনকে কোণঠাসা করে ফেলে জনতা। সাত কোটি বাঙালি...