৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন দুই দিন পরে ১০ জানুয়ারী। উপস্থিত জনতার ঢলে ভেসে যাচ্ছিল বিমানবন্দর। বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বঙ্গবন্ধু, নাতিদীর্ঘ ভাষনে জাতিকে দেন দিক নির্দেশনা। নিচে পুরো ভাষণটি তুলে ধরা হলো- --- আমি প্রথমে স্মরণ করি আমার বাংলাদে...
পরবর্তীতে প্রবল জনরোষের মুখে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার এবং সেদিনই কারাগার থেকে মুক্তি পান বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিমূর্ত প্রতীকে পরিণত হওয়া শেখ মুজিবুর রহমান। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাকে। একটি স্বাধীন-স্ততন্ত্র বঙ্গভূমি তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের ...
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এবং বৈশ্বিক মহামারির অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দুই বছর পূর্বে আজকের এই দিনে তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনার যে গুরুদায়িত্ব আপনারা আমার উপর অর্পন করেছিলেন, সেটিকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহণ করে আমরা সরকার পরিচালনার তৃতীয় বছর...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেভাবে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি, তার পূর্ণতা এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও পাকিস্তানিদের লুটপাটে নিঃশেষিত একটি জাতি নতুন করে গড়ে ওঠার জন্য যখন লড়ছিল, ঠিক তখনই দেশাদ্রোহীদের কালো থাবায় থমকে যায় জাতি ও রাষ্ট্র। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের আগ্রাসনের কারণে স্বাধী...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির অনেক আকাঙ্খিত সুসংবাদটি ঢাকায় পৌছলে গােটা বাংলাদেশে এক অবিস্মরণীয় অভূতপূর্ব আনন্দের হিল্লোল বইতে থাকে। স্বাধীন ভুমিতে বিজয়ের আনন্দ যেন তখন কানায় কানায় ভরে গেছে। অগণিত বাঙালি নরনারী অনিশ্চয়তার আবর্তে স্বস্তির সন্ধান পেল। অকূল পাথারে কূল খুঁজে পেল। মুজিব নেই, বিজয়ী হয়েও এতদিন খুশি হতে পারে নি সাড়ে সাত কোটি বাঙালি। মুজিব ছাড়...