বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেভাবে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছি, তার পূর্ণতা এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও পাকিস্তানিদের লুটপাটে নিঃশেষিত একটি জাতি নতুন করে গড়ে ওঠার জন্য যখন লড়ছিল, ঠিক তখনই দেশাদ্রোহীদের কালো থাবায় থমকে যায় জাতি ও রাষ্ট্র। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের আগ্রাসনের কারণে স্বাধী...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির অনেক আকাঙ্খিত সুসংবাদটি ঢাকায় পৌছলে গােটা বাংলাদেশে এক অবিস্মরণীয় অভূতপূর্ব আনন্দের হিল্লোল বইতে থাকে। স্বাধীন ভুমিতে বিজয়ের আনন্দ যেন তখন কানায় কানায় ভরে গেছে। অগণিত বাঙালি নরনারী অনিশ্চয়তার আবর্তে স্বস্তির সন্ধান পেল। অকূল পাথারে কূল খুঁজে পেল। মুজিব নেই, বিজয়ী হয়েও এতদিন খুশি হতে পারে নি সাড়ে সাত কোটি বাঙালি। মুজিব ছাড়...
দিল্লিতে বঙ্গবন্ধুর যাত্রাবিরতি ছিল সংক্ষিপ্ত। রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য কথাবার্তার পর ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানেই তিনি যাত্রা করেছিলেন ঢাকার উদ্দেশে। এ সময় বিমানে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহযাত্রী ছিলেন ফারুক আহমদ চৌধুরী। তিনি সেই যাত্রার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন এভাবে: "...দশই জানুয়ারি ১৯৭২-এর সেই অবিশ্বাস্য সকাল। পালাম বিমানবন্দর। আটটা বেজে দশ মিনিট। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রুপালি কমে...
১০ জানুয়ারি (১৯৭২) বিকেল ৪.২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার মতো করে নির্মিত ১০০ ফুট দীর্ঘ মঞ্চে স্থাপিত মাইকের সামনে যখন ভাষণ দিতে ওঠেন, তখন তিনি শিশুর মতো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন; তার দু'চোখ গড়িয়ে অশ্রু পড়ছিল বারবার। কান্না ছিল সেদিনের একমাত্র কণ্ঠস্বর। তিনি কাঁদছিলেন। কাঁদছিল ...
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু লন্ডন ও দিল্লি হয়ে প্রাণের শহর ঢাকা ফিরে আসেন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে। ঢাকা অবতরণের পূর্বে কমেট বিমানটি বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবশত প্রায় ৪৫ মিনিট বিমানবন্দরের ওপর চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। ওপর থেকে “সোনার বাংলা” অবলোকন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর এ ফেরা শুধু ফেরা ছিল না-এ ফেরা বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ রক্তক্ষ...