দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

596

Published on ডিসেম্বর 29, 2014
  • Details Image

গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও উন্নয়নের মাধ্যমে সুপরিকল্পিতগৃহায়ন এবং নগরায়নের পাশাপাশি সরকারি স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণেগৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ারকাজে হাত দেন। তিনি সুষ্ঠু নগরায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ১৯৭২ সালেপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় নামে একটিস্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টিকরেন। পরবর্তীতে যার নামকরণ হয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এ মন্ত্রণালয়সারাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন শেল্টার, দেশে খাদ্য গুদাম নির্মাণ ওসংসদ ভবনের বন্ধ কাজ পুনরায় চালু করাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিনির্মমভাবে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করলে থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়নেরচাকা।দেশে নেমে আসে গণতন্ত্রহীন এক কালো অধ্যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে গৃহায়ন ওগণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করা হয়। ১৯৯৭সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি)সরকারি গেজেটেরমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ডিএমডিপির আওতায়১৯৯৭ সালেই ঢাকা স্ট্রাকচারপ্লান এবং আরবান এরিয়া প্লান প্রণয়ন হয়। গুলশান, বনানী, মানিক মিয়া এভিনিউএবং মিরপুরে ১ হাজার ২০০টি ফ্লাট নির্মাণ করা হয়- যা ন্যাম ফ্ল্যাট নামেপরিচিত।

অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রণালয় ওঅধিদপ্তরসমূহের সার্বিক কর্মকান্ড উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন। এ সময়মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ, পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবংপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, স্থাপত্য ভবন ও ঢাকা নভোথিয়েটারনির্মাণকরা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-২, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, খুলনায় শেখ আবু নাসের বিশেষায়িতহাসপাতালসহ দেশব্যাপী অসংখ্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আইন লংঘন করে আবাসিক এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছেÑ যা স্থানীয় জনগণের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটিহাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। আবাসিক এলাকায় কোনো হাসপাতাল ওস্কুল নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে না। তিনি রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলোতেবহুতল ভবন নির্মাণ নিয়ন্ত্রণেরও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালেক্ষমতায় এসে এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা শুধু মহান স্বাধীনতারস্মৃতিবিজড়িত এইস্থাপনার নির্মাণ কাজই বন্ধ করেনি তারা গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তরকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বনানীর ন্যাম ফ্লাটগুলো দলীয় লোকদের কাছে বিক্রি করে দেয়াহয়। বনানীর ন্যাম ভবনের পাশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জায়গায় প্লট বানিয়েবিএনপি পল্লী গড়ে তোলে হয়। তেজগাঁওয়ে পিডব্লিউডির জায়গা দখল করে দলীয়লোকদের বরাদ্দ দেয়া হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর, গৃহায়ন অধিদপ্তর, রাজউকসহবিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি, বাড়ি, ভবন দখল করে তারা নৈরাজ্য আরলুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনকরি। বিএনপি-জামায়াত জোটের অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলে অন্যান্য খাতের ন্যায়গৃহায়ন ও গণপূর্ত খাতের উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আমাদের ৯৬সরকারের অসমাপ্ত ও বন্ধ কাজগুলো আবার চালু করি। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দীউদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ, খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যালকলেজ-২, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালসহ বিএনপি-জামাত জোট আমলে বন্ধ থাকাঅসংখ্য স্থাপনের অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ শেষ করে তা জনগণের কল্যাণে উন্মুক্তকরেদেয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার পরিকল্পিত নগরী ও সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিতকরতে গত ছয় বছরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নকরেছে। হাউজিং এবং বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট টেকসই ও ব্যয় সাশ্রয়ী গৃহনির্মাণ করার লক্ষ্যে বিভিন্নমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গণপূর্তঅধিদপ্তর গত ছয় বছরে দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ৯টি ফ্লাট নির্মাণ প্রকল্পএবং ১ হাজার ৯৬৪টি প্লট উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়নকর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৭৫৬টি প্লট উন্নয়নের কাজ শেষ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার আওতায় ৩৫টি প্লট উন্নয়নপ্রকল্প এবং ২৯টি ফ্লাট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। এর অধীনে ৪২ হাজার৯৭১টি প্লট উন্নয়ন এবং ৩২ হাজার ৮১৬টি ফ্লাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৭হাজার ৯৫৯ প্লট উন্নয়নের জন্য এ মন্ত্রণালয়ের ২৬টি প্রকল্প এবং ৭২ হাজার১৯৭টি ফ্লাট নির্মাণের জন্য ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য ২০-তলা বাসভবননির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার আজিমপুর, মতিঝিল সরকারি কলোনি এবং বেইলী রোডেবহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল নতুন শহরে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমেডিপিপি অনুযায়ী ৬২ হাজার ফ্লাট নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। আমি আশাকরি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা উন্নয়নকর্তৃপক্ষ, জাতীয গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর আরো অধিক সংখ্যকপ্লট উন্নয়ন ও ফ্লাট নির্মাণের মাধ্যমে আবাসন সমস্যা সমাধানে তাৎপর্যপূর্ণভূমিকা রাখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চ-বার্ষিক এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বস্তিবাসী ও নি¤œ আয়ের মানুষের আবাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৮০বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রো-পুওর স্লান ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট নামে একটি পাইলটপ্রকল্প হাতেনেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন, সৌন্দর্যবর্ধন ওপয়ঃনিষ্কাশনসহ পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে এ মন্ত্রণালয় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।৪টি লুপসহ কুড়িল ফ্লাইওবার চালু করা হয়েছে। ৩০০ ফুট প্রশ্বস্ত ১৩ কিলোমিটারদীর্ঘ পূর্বাচল লিংক রোড ও বালু নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।গুলশানে দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫-তলা কার পার্কিং-কাম-অফিস ভবন নির্মাণ করাহয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ তৈরি এবং ঢাকা মহানগরীর একটি নতুনপ্রবেশ পথ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রগতি সরণি থেকে বালু নদী পর্যন্ত মহাসড়কনির্মাণ করা হয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় রেল লাইনের ওপর রেলওয়ে ওভারপাসনির্মান করা হয়েছে। শান্তিনগর থেকে মতিঝিল প্রকল্প পর্যন্ত নতুন একটিফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগুনবাড়ী খাল ও হাতিরঝিল উন্নয়নের ফলে বৃষ্টিরপানিসংরক্ষণসহ ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থারব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ প্রকল্পে মেইন ডাইভারসন স্যুয়ারেজ লাইন ও লোকালডাইভারসন স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও অন্যান্য নগরীরউন্নয়নকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের যানজট নিরসনে বহদ্দারহাটফ্লাইওভার, দেওয়ানহাট ওভারপাস, ঢাকা ট্রাংক রোড, কাপাসগোলা রোড, পাঠানটুলিরোড, অক্সিজেন থেকে কোয়াইশ পর্যন্ত সড়কপথ, অলিখাঁ মসজিদ থেকে মুরাদপুর জংশনপর্যন্ত হাটহাজারী রোড, কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহ্টা পর্যন্ত আরাকান রোডনির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, লুপ রোড, মুরাদপুর ২ নম্বর গেইট ও জিইসি জংশনে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বড় বড়শহরের উন্নয়নে গত ছয় বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজউকের সকল নথিপত্র ও প্লান সংক্রান্ত কার্যাবলীতথ্য-প্রযুক্তির আওতায় আনার কাজ চলছে। সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের অন-লাইনসার্ভিস ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেরক্ষেত্রে একটি অন্যতমসাফল্য। এ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা নাগরিক সেবা সম্পর্কিতসকল ই-সেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ন ও বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিকল্পনাকে আমরাবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান, সিলেটও বরিশাল বিভাগীয় শহরের স্ট্রাকচার প্লান, খুলনা মহানগরীর ডিটেইল্ড এরিয়াপ্লান প্রণয়ন করা হয়েছে। খুলনা মহানগরীকে মংলা পর্যন্ত সম্প্রসারণেরলক্ষ্যে স্ট্রাকচার প্লান, মাস্টার প্লান ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান, চট্টগ্রাম মহানগরীর স্ট্রাকচার প্লান এবং ডিটেইল্ড এরিয়াপ্লানসহকক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও মহেশখালী এলাকার পর্যটন শিল্প বিকাশেরলক্ষ্যে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার বিদ্যমান ডিটেইল্ড এরিয়া প্লানকে (ড্যাপ) রিভিউ করেআরো বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) প্রণয়নেরকার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আমরা পিপিপির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পবাস্তবায়নের কাজ করছি। শান্তিনগর থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওবার এবং মিরপুর৯ নম্বর সেকশনে বহুতল এপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্প পিপিপির আওতায়বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি কুয়ালালামপুর সফরকালে মালয়েশিয়ারপ্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সামী ভেলু আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে আমি তাকেঢাকার নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য কামরাঙ্গীরচরে বহুতল আবাসন প্রকল্পেবিনিয়োগের আহবান জানাই। তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ছয় বছরে এ মন্ত্রণালয় যে সফলতা অর্জন করেছে তার দাবিদারআপনারা। আমাদের সরকার জনগণের সরকার। জনগণের কল্যাণের জন্যই আমার রাজনীতি।আজ বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতারক্ষা করতে হবে। সরকার উন্নয়ন কাজের সফল বাস্তবায়ন আপনাদের পবিত্রদায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুনসকলে মিলে দেশের উন্নয়নে নিবেদিত হই। গৃহায়ন ওগণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মী হোক উন্নয়নের হাতিয়ার।
তিনি বলেন, আবাসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নগর উন্নয়নের প্রতিটি কাজ আরোগতিশীল হবে। ভবন নির্মাণে বাংলাদেশ ন্যাশনালবিল্ডিং কোডসহ প্রচলিত আইনেরসর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত