সরকার এধরনের নাশকতা আর সহ্য করবেনাঃ বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী

421

Published on ডিসেম্বর 30, 2014
  • Details Image

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের অপরাধের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। নোয়াখালীতে স্কুল শিক্ষকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াতই দায়ী।

তিনি এ ধরনের অপরাধ করা থেকে বিরত থাকতে বিএনপি-জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- আর সহ্য করব না এবং এ ধরনের অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী ও ঢাকায় যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে, তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা কখনোই চাই না, কেউ এ ধরনের অপরাধ করুক, আমরা অবশ্যই অপরাধীদেরকে খুঁজে বের করব এবং এ ধরনের জঘন্য অপরাধ বন্ধে অপরাধীদের বিচার করব ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ যে মুহূর্তে শান্তিতে বসবাস করছে, ঠিক সে সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। তিনি বলেন, সোমবারের বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ডাকার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে, আমার জানা নেই। তিনি হরতাল আহ্বানকারী বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা একজন স্কুল শিক্ষককে হত্যা করে এবং অপর একজন স্কুল শিক্ষককে পুড়িয়ে কি পেয়েছে। তারা একজন স্কুল শিক্ষকের জীবন কেড়ে নেয়া ছাড়া এবং অপর একজন আগুনে পোড়ানো ছাড়া আর কিছু তো পায়নি। গত সোমবারের হরতাল থেকে তারা আর কিছুই পায়নি। তাহলে কেন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালানো হলো। মানুষ মারা এবং পোড়ানোই যদি তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাহলে এটি হবে খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, তারা কেন একজন স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা চালাবে।

শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে সারা বছর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় একজন স্কুল ছাত্রী তার চোখ হারিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধে আন্দোরনের নামে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং সারাদেশে ৫৮৪টি স্কুল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তারা শিক্ষক ও ছাত্রদের উপরও হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনের আগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছিল। কিন্তু কি করতে পেরেছে। নির্বাচন হয়েছে। তারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারেনি। তাহলে তারা কেন পুনরায় মানুষ হত্যা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভাল কর্মসূচি দিলে এবং জনগণের জন্য ভাল কাজ করলে জনগণকে বলতে পারত এবং জনগণের সমর্থন পেত। কিন্তু তারা জনগণের সমর্থন পাচ্ছে না। জনগণ তাদের ব্যাপারে খুবই সচেতন। ফলে আমি মনে করি, বিএনপি নেতাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- থেকে বিরত থাকা উচিত এবং জনগণকে শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে দেয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাখাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার দেশের উন্নয়নে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশকে নিরক্ষরতা ও দারিদ্র্য মুক্ত করতে শিক্ষাখাতে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে মনে করছে। তিনি বলেন, শিক্ষায় ব্যয় হচ্ছে বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগ দিয়ে আমরা জাতিকে নিরক্ষর ও দারিদ্র্য মুক্ত করব। তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাখাতের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু স্কুল রয়েছে, যেগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের ফলাফল অনুযায়ী বৃত্তি দেয়া হবে। এখন ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সকলেই এই পরীক্ষার জন্য মনোযোগী।

শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং প্রেস সেক্রেটারী এ কে এম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত