রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রঃ ইউএস আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন

1338

Published on নভেম্বর 5, 2017
  • Details Image

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে। জোরপূর্বক বিতাড়িত নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর চাপ ও আলোচনা অব্যাহত রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সফররত রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারী অব স্টেট টমাস এ শ্যানন রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেটের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি চাপ এবং আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে তাঁর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন এবং তাদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার মানবিক কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় গ্রহণকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় গ্রহণের সঙ্গে তুলনা করেন। এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের ভূয়শী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে শ্যানন বলেন, বাংলাদেশ এখন আত্মনির্ভরশীলতা এবং আত্মবিশ্বাসের একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত ও মডেল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্যানন বলেন, এই মহান নেতার প্রতি সম্মান জানাতে তিনি এখানকার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরও পরিদর্শন করেছেন।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে অর্থের উৎস বন্ধ করার তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রত্যাশী। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তথ্যের আদান-প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লুকিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত আনার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত