১ কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

6218

Published on জুলাই 16, 2020
  • Details Image

জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২০ ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে এক কোটি গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) গণভবন থেকে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে চালতা, তেঁতুল ও ছাতিয়ান গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে বৃক্ষরোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কাজেই তার স্মরণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা প্রতিবছরই এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।

প্রতিটি ইঞ্চি জমিতে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আহবান করবো- যেখানে আপনার যতটুকু জায়গা আছে গাছ লাগান। যারা শহরে থাকেন ছাদে বা বারান্দায় একটা টবে গাছ লাগান। যেভাবেই হোক একটু গাছ লাগালে ভালো লাগবে। মনটাও ভালো লাগবে। আর কিছুটা আপনার নিজের সচ্ছলতা আসবে।

তিনি বলেন, নিজের হাতে লাগানো একটা গাছের একটা কাঁচামরিচ খেলেও কিন্তু ভালো লাগে। কাজেই সেইভাবে আমি আহ্বান করব সবাইকে আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই, আমাদের দেশটা একটা বদ্বীপ এই দেশটাকে আমরা রক্ষা করি এবং দেশটাকে উন্নত করি।

বনায়ন সৃষ্টিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে বনায়ন সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমি যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র ৭ ভাগ আমাদের বনায়ন ছিল। আজকে প্রায় ১৭ ভাগের উপরে আমরা করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ২৫ ভাগ বনায়ন সারা বাংলাদেশে করবো। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।

সরকারের পাশাপাশি বনায়নে দলীয় কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেই চুরাশি সালে আমরা শুরু করি। ৮৪ থেকে শুরু করে আমরা প্রতিবছর পহেলা আষাঢ় সমগ্র বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণ করি। আমাদের সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগের ওপরে দায়িত্ব থাকে। কৃষকলীগ সমগ্র বাংলাদেশে এই উদ্যোগটা নেয় এবং আমাদের সকল সহযোগী সংগঠন মিলে আমরা বৃক্ষরোপণ করি।

গণভবনে গাছের চারা রোপণের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি লাগিয়েছি একটা চালতে গাছ, তেঁতুল গাছ আর একটা হচ্ছে ছাতিয়ান গাছ। ছাতিয়ান গাছটা খুব বড় হয়, এর কাণ্ড খুব মোটা হয় এবং কাঠ হিসেবে খুব ভালো। সেজন্য ওটা লাগানো হয়েছে।

তেঁতুল গাছের কথা বলতে গিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেঁতুলের কথা তো শুনলেই জিভে পানি আসে। ছোটবেলার কথা মনে হয়, তবে এই বৃদ্ধ বয়সে আসে না। বৃদ্ধ বয়সে তো এত টক খাওয়াও যায় না। তেঁতুল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারো যদি প্রেশার থাকে এটা প্রেশারের জন্য ভালো। আর তাছাড়া এমনিতে শরীরটাকে ঠাণ্ডা রাখা। তেঁতুল অনেক কাজে লাগে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ থেকে তেঁতুলের জাতটা আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে এটার চাহিদা আছে। আর ফুচকা-চটপটি তো সবার খেতে ভালো লাগে। সেজন্য তেঁতুল সবসময় দরকার। সেজন্য আমি তেঁতুল গাছের ওপর একটু জোর দিয়েছি। আর চালতাটাও। চালতার পাতাগুলো যেমন সুন্দর দেখতে, ফুল আরো সুন্দর দেখতে। চালতার আবার অনেক গুণ রয়েছে। ডালের সঙ্গে চালতা দিয়ে খেতে তো এমনি মজা লাগে।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।

সৌজন্যেঃ বাংলানিউজ২৪

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত