2895
Published on জুন 6, 2021শিবু দাশ সুমিতঃ
তিনি রাজনীতির কবি, নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের মতে তিনি 'পয়েট অব পলিটিক্স।'হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অপর নাম বাংলাদেশ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাইগার নদীর তীরে খোকা নামক যে ছেলেটি ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুনের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিল সেই ছেলেটিই একসময় হয়ে উঠেছিল সাত কোটি নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম বাতিঘর। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম" এই বজ্রকণ্ঠের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাত কোটি বাঙালি দখলদার হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক লাল সবুজের এই ভূখণ্ডটি অর্জন করে নেয়।
কিন্তু এ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক সুদীর্ঘ সংগ্রাম, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ এবং দীর্ঘ কারাভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্য থেকে একবিন্দুও বিচ্যুত হননি। মূলত ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর থেকেই যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয় তখন থেকেই বিশেষত এই অঞ্চলের রাষ্ট্রভাষা কি হবে তা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ 'বাংলা ভাষা দাবি দিবস' পালিত হয় এবং সেই দিবস পালনকালে পিকেটিং করার সময় শেখ মুজিবসহ তৎকালীন ছাত্রলীগের ৬৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ২৪শে মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন যে "Urdu & only Urdu shall be the state language of Pakistan ". যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন ছাত্র সমাজ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ধীরে ধীরে আন্দোলন ব্যাপক আকারে দানা বাঁধতে থাকে। সময় গড়িয়ে যায়। ১৯৫২ সালের ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় পতাকা দিবস। ১৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে বন্দি শেখ মুজিব ও মহিউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও বন্দি মুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে প্রাণ দেয় আব্দুস সালাম, আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদসহ আরো নাম না জানা অসংখ্য তরুণ। পরবর্তীতে পাকিস্তান গণপরিষদ ১৯৫৪ সালের ৯মে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং ১৯৫৬ সালে সংবিধানের ২১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যে রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয়েছিল সেখান থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় ১৯৫৫ সালে দলের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে। এর আগে অবশ্য ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চারটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট। মূলত যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি মুসলিম লীগ শাসক ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে এক "ব্যালট বিপ্লব।" এ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য দিক হলো মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের পরাজয়। শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ঠাণ্ডু মিয়াকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় লাভ করে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা। ঐ মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু মাত্র ৫৬ দিনের মাথায় ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ৯২(ক) ধারা বলে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভাকে বাতিল ঘোষণা করেন তৎকালীন গভর্নর গোলাম মোহাম্মদ। গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধুসহ আরো বেশ কিছু নেতাকে। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা চলে যায় সামরিক জান্তার হাতে। বাঙ্গালিদের উপর চলতে থাকে অকল্পনীয় নির্যাতন আর নিপীড়ন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে জান্তা সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেয় পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ। সময় যতই গড়াচ্ছিল ততই শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠছিলেন বাঙালির অন্যতম আশা ভরসার প্রতীক।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৬ দফা কেবল কতিপয় দাবিনামা ছিল না। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙ্গালিদেরকে সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এর সাথে যুক্ত হয় পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তাহীনতা। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হয়। ৬ দফা ঘোষণার পর তা বাঙ্গালির প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়। ঐতিহাসিকগণ একে ম্যাগনাকার্টা এবং বিল অব রাইটসের সাথে তুলনা করে থাকেন। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই বলতেন "সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হবার জন্য।" জানা যায় ৬ দফার সমর্থনে বঙ্গবন্ধু সারাদেশে ৩৫ দিনে ৩২টি জনসভায় বক্তৃতা করেন। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতেই শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি সম্বলিত এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন। দাবি ছিল মূলত ছয়টি। একটু বিশ্লেষণ করা যাকঃ
দফা-১: শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি
এতে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ও প্রদেশের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হচ্ছে।
দফা-২: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
শুধুমাত্র দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি বাদে অন্য সকল ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোর একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকবে।
দফা-৩: মুদ্রা ও অর্থবিষয়ক ক্ষমতা
সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে।
দফা-৪: রাজস্ব, কর ও শুল্কবিষয়ক ক্ষমতা
কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে কেবল প্রদেশগুলোর।
দফা-৫: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা
বৈদেশিক মুদ্রা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
দফা-৬: আঞ্চলিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা
প্রদেশগুলো চাইলে তাদের আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিজস্ব মিলিশিয়া / আধা সামরিক বাহিনী গঠন করতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু ৬ দফাকে "আমাদের বাঁচার দাবি" বলে আখ্যায়িত করেন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি ও ৬ দফা দাবীতে পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল পালিত হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মনু মিয়া, মুজিবুল হকসহ মোট ১১ জন। গ্রেফতার হন প্রায় ১২০০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এতো বেশিসংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন যে আন্দোলন চালিয়ে নেবার মতো নেতাকর্মী ছিলো না। তবে সাধারণ মানুষই টেনে নিয়ে গেছে আন্দোলনকে। আইয়ুব খান ৬ দফা আন্দোলন বন্ধ না করলে পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের ও অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগের হুমকি দেন। ৬ দফার দাবিতে বঙ্গবন্ধু বলেন "আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, এদেশের মানুষের অধিকার চাই।" ৬ দফার মৌলিক প্রশ্নে কোন সমঝোতা বা আপস করা হবে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "There was no scope of readjustment in his party's six point programme because it was held in the country and as such the six point demands were no more his party's properties, it belonged to the people."
৬ দফা আন্দোলনকে দমাতে আইয়ুব খান সরকার বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে দায়ের করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। যার আনুষ্ঠানিক নাম দেয়া হয় "রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য" যাকে বঙ্গবন্ধু "ইসলামাবাদ ষড়যন্ত্র মামলা" হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয় ১৯৬২ সালে পাকিস্তান নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে বঙ্গবন্ধুর সশস্ত্র আন্দোলন নিয়ে কথা হয়। ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় তৎকালীন কংগ্রেস নেতা শচীন্দ্রলাল সিংহের সাথে সাক্ষাৎ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে বার্তা পাঠিয়ে সশস্ত্র আন্দোলনে সহযোগিতা কামনা করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভব ঘটে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের। এ সময়ে জনতার স্লোগান ছিলো "জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো" বা "তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব শেখ মুজিব।"
অবশেষে আইয়ুব খান সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ মুজিব হয়ে উঠেন আপামর জনতার বঙ্গবন্ধু। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে ভূমিধ্বস বিজয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে বিবিসি'র শিরোনাম ছিলো "The Awami League, under Sheikh Mujibur Rahman wins an overwhelming election victory in East Pakistan." ইয়াহিয়া ও জেড এ ভুট্টো জানতেন শেখ মুজিবুর রহমান খাজা নাজিমউদ্দীন বা নুরুল আমিনের মতো নামকাওয়াস্তে বাঙালি ছিলেন না। তাই সমগ্র পাকিস্তানের দায়িত্ব তাঁর উপর ছেড়ে দেবার ব্যাপারে তারা সন্দিহান ছিলেন। বিভিন্নভাবে বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তারা টালবাহানা শুরু করে। ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ইয়াহিয়া খান স্থগিত করলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ঘোষিত হয় অসহযোগ আন্দোলন। ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ মানুষের বিশাল জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন- 'রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়বো। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
তাঁর নেতৃত্ব এতোটাই দূরদর্শী ছিল যে, ISI রিপোর্ট করেছিলো- "চতুর শেখ মুজিব চতুরতার সাথে বক্তৃতা করে গেলেন, একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হওয়ার দায়িত্ব নিলেন না, নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার ছিল না।"
বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণ ধীরে ধীরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মাঝরাতে দখলদার হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়লে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণায় তিনি বলেনঃ "This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.”
স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয় এবং দীর্ঘ নয় মাসের অধিক সময় কারাগারে আটকে রাখা হয়। দৃশ্যত তিনি কারাগারে আটকে থাকলেও তাঁর নামেই পরিচালিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ২৬৬ দিনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মাহুতি এবং ২ লক্ষ মা, বোনের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় লাল-সবুজের পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
লেখকঃ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নড়াইল