‘স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন’

664

Published on আগস্ট 13, 2021
  • Details Image

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কল্যাণে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধি হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধকে যারা স্বীকার করে না, তাদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। 

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসি বাহিনীর সহযোগিতা করেছে তাদের ভোটাধিকার নেই। এমনকি যারা সমর্থন করেছিল তাদেরও ভোটাধিকার নেই। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য এই দেশে স্বাধীনতার যারা বিরোধিতা করেছে তারা রাজনীতি করে, এমপিও নির্বাচিত হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার কল্যাণে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের খুঁজতে কমিশনের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিয়ে এটা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। একটা কমিশন গঠন করে হত্যাকাণ্ডের সবিস্তর জাতির সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কমিশন গঠিত না হলে আজ থেকে ৫০-১০০ বছর পর অন্য ইতিহাস রচিত হবে। কারা হত্যা করেছিল, বিচারে যাদের শাস্তি হয়েছিল তারাই শুধু যুক্ত ছিল। এটি তখন দাঁড়াবে। এটি তো হতে পারে না।

সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্ত কমিশন গঠনের ওপর জোর দিয়ে তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি শুধু মন্ত্রী নন, আপনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও। আওয়ামী লীগ না থাকলে পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কুশীলব তাদেরও বিচার হবে না। ইতিহাসের সত্য জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই কমিশনটি করতে হবে। অন্যসব কাজ চলছে, এ কমিশনের কাজ বন্ধ থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই কমিশন না করে গেলে আগামীতে নতুন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন তথ্য হাজির হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আমরা দুঃখিত যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্তের কমিশন গঠনের কথা আসে শুধু আগস্ট আসলেই। আগস্ট মাস শেষ হয়ে গেলে কমিশন আর হয় না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যারা নেপথ্যে ছিলেন তাদের সকলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুখ প্রমুখ।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত