১৯ মার্চ ১৯৭১, মুুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ

লেখক আ.ক.ম. মোজাম্মেল হকঃআজ ঐতিহাসিক ১৯ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের (সেই সময়ের জয়দেবপুর) বীর জনতা গর্জে উঠেছিল এবং সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। মনে পড়ে মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলিতে বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় গণ-অভ্যুত্থানের কথা। ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ দুপুরে হঠাৎ এক বেতার ভাষণে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খ...

বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে তাই দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ আর থামাতে পারবে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে তাই দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি। কাজেই এই দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলবো।বুধবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন...

বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত করেই চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা সহজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশকে ধ্বংস করার জন্য খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা যেন আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, বিজয় আমরা ...

১৬ই ডিসেম্বর: মহান বিজয় দিবস-নিশঙ্ক চিত্ত, সুউচ্চ শির

১৬ ডিসেম্বর, রক্তস্নাত বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উচু করার দিন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করে বহু প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদিনে বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মুক্তিকামী মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের পর এদিন আত্মসমর্পণ করে মুক্তিকামী মানুষের কাছে। আর পাকিস্তানি বাহিনীর এই আত্মসমর্পণের ম...

ডিসেম্বর: বাংলাদেশের বিজয় উদযাপনে বিএনপির এতো সমস্যা কেন?

দীর্ঘ দুই যুগের মুক্তিসংগ্রাম এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের মাধ্যমে হাজার বছরের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটে বাঙালি জাতির। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মোহনী নেতৃত্বে বীরের জাতি হিসেবে বিশ্বমানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। সেই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই নিয়মিত মহান মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি এবং স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ও ভীতি সৃষ্টি করে চলেছে বিএন...

গুল্লি বয়ে গা, লবণ দেয়ে গা

নারায়ণ বাল্মিক দাস: চা-শ্রমিকদের ‘গুল্লি বয়েগা...লবণ দেয়ে গা...’ বলেছিল পাকিস্তানি সেনারা। না মানায় ২২ জন চা-শ্রমিককে ঘরে নিয়ে গিয়ে সুপারি খাইয়ে অবচেতন করে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাযজ্ঞে আমিই একমাত্র জীবিত। আজও বয়ে বেড়াই ভয়ংকর মুহূর্তগুলো। এখনো সবিস্ময়ে ভাবি, ২২ জনের মধ্যে ২১ জন মারা পড়ল, আমি বাঁচলাম কেমনে! মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে হানাদার বাহিনী ...

জগন্নাথ হলেই ছিলাম

কালীরঞ্জন শীলঃ মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কোটি মানুষের স্বপ্নে, ত্যাগে, বীরত্বে রচিত হয়েছে এর ইতিহাস। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে মুক্তিযুদ্ধের কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আজকের জানাবো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার বিবরণ। আমি থাকতাম জগন্নাথ হলের দক্ষিণ বাড়ির ২৩৫ নম্বর কক্ষে। খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে...

প্রবাসী মন্ত্রীসভার শপথের অপেক্ষা

একাত্তরের ১৬ এপ্রিল একদিকে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী মু্জিব নগর সরকারে শপথ গ্রহণের গোপন প্রস্ততি চলতে তাকে। এদিন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। চুয়াডাঙ্গায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলায় মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর সরিয়ে ভৈরব নদের অন্য পাড়ে ইছাখালী ...

আমার নেতা বঙ্গবন্ধু

আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক: মাত্র ৫৫ বছরের জীবন ছিল তাঁর। নিষ্ঠাবান কর্মী থেকে তিনি হয়েছিলেন রাজনীতির মহাকবি। রচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহাকাব্য। যাঁর জন্মের সাথে জড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তিনি মহান নেতা, মহান শিক্ষক, মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি পাকিস্তান সৃষ্টিলগ্ন থেকেই চিন্তা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের কথা। যে পাকিস্তানের সৃষ্টির জন্য তিনি ...

বঙ্গমাতা: বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী

শেখ ফজিলাতুন নেছা, ডাক নাম রেণু। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে রেণু নামেই অসংখ্যবার সম্বোধন করেছেন তাকে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠাঙ্গিনী, তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে সদাব্যস্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সংসারের প্রাণভোমরা এই বাঙালি গৃহবধূ ক্রমেই হয়ে উঠেছেন জাতিকে স্বস্তির ছায়াদানকারী আঁচলধারিণী। তিনি যেমন একহাতে নিজের সংসার সামলেছেন, ত...

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু: মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের বীজমন্ত্র

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারেনি বাঙালি জাতি। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা এই দেশকে আবারো শ্মশানে পরিণত করতে চেয়েছিল। দুই দশকের এক দীর্ঘ বিভীষিকাময় সময় ছিল সেটা জাতির জন্য। অথচ, বহির্বিশ্বে কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধুর নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হতো। ঠিক তেমনই, বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অদম্য উৎসাহে...

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে গত সাড়ে তেরো বছরে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা-প্রকল্পগুলো দ্রুত এগোচ্ছে। আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়েছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে &...

১৯৭১-এর ঈদ: রাজাকারদের সহায়তায় ধর্ষণ ও গণহত্যা চালায় পাকিস্তানিরা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ঈদ এসেছিল বাঙালির জীবনে। দীর্ঘ একমাস রোজা শেষে নভেম্বরের ২০ তারিখের সেই দিনটি ছিল শনিবার। মুসলিমদের জন্য সংযমের মাস হলেও, সেই রমজানজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় নারী-পুরুষদের ওপর নৃশংস তাণ্ডব চালায় জামায়াত, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়ি-ঘরেও লুটপাট...

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধ ছিলো অপরিহার্য

আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য দু’টি বিষয় জরুরি ছিল। প্রথমত যারা এই রাষ্ট্র গঠন করেছে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এবং দ্বিতীয়ত রাষ্ট্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে কি না? কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অন্য একটি গণতান্ত্রিক নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে গেলে প্রথমেই দেখতে হয় যারা নতুন রাষ্ট্র গঠন করেছেন বলে দাবি করছেন, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী কি না?...

২৫ মার্চে গণহত্যা হয়েছিল-এটিই বাস্তবতা

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকার ২৫শে মার্চের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য ২০১৯ সালে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিবর্গ এই গণহত্যার সার্বজনীন স্বীকৃতি আদায়ে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়াও, গণহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ কাউন্সেলর-অ্যাডামা দেইং ২০১৯ সালের ২৪ শে মার্চ আমাদের মাননীয় ...

পাকিস্তানকে গণহত্যা ও যুদ্ধের দায় শোধ করতে হবে

প্রধানত দুটি কারণে পাকিস্তান দায় এড়াতে পারবে না। প্রথমত, এই যুদ্ধে স্পষ্টতই পাকিস্তান আগ্রাসী রাষ্ট্র। কারণ সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে তারাই প্রথম যুদ্ধ ঘোষণা এবং শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলি এবং আক্রমণকারী দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করি। দ্বিতীয়ত, বিনা উসকানিতে হাজার হাজার গ্রামগঞ্জে নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং ত...

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসঃ ভয়াল কালরাত্রির গণহত্যা

মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর নিষ্ঠুরতম গণহত্যার একটি রাত। একাত্তরের ২৫শে মার্চের সেই রাত। গভীর রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে হঠাৎই ট্যাংকের গর্জন শুনতে পায় শহরবাসী। পাখির ডাক নয়, বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ জনসাধারণ জেগে ওঠে অনবরত গোলাগুলির শব্দে। বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম এবং বৃহত্তম এক গণহত্যার সূচনা হয় এভাবেই, যা পরিচালনা করেছিল তৎকালীন পাকিস্তানের সাম...

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গাজীপুরে

রা’আদ রহমান:  অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আর একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর মুখোমুখি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমান শক্তি বা ক্ষমতা প্রয়োজন। কিন্তু ইতিহাসের নানা বাঁকে মাঝে মাঝে আমাদের পরিচয় ঘটে এমন সব অবিশ্বাস্য মুহূর্তের সাথে, যখন লাঠিবল্লম, দা ইত্যাদি হাতের কাছে পাওয়া যৎসামান্য অস্ত্র হাতে হাজারো মুক্তিকামী জনগণ অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সুপ্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর মুখোমুখি...

২৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞের পর যেভাবে এলো স্বাধীনতার ঘোষণা

১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে তখন তুমুল অসহযোগ আন্দোলন চলছিল। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মার্চের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও অগ্নিগর্ভ। ৭ মার্চ, ১৯৭১; ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির ...