2210
Published on মার্চ 21, 2022১৩ বছর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সামনে অনেকদূর যেতে হবে, আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার যে ওয়াদা করেছিলাম, সেটা পূরণ করলাম। সোমবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উপহার হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে প্রথম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতিতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রকৌশলীরাই এমন বড়ো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝড়ঝাপটা যে আসেনি, তা কিন্তু নয়। সেগুলো আমরা মোকাবিলা করেছি। মানুষের সব চাহিদা পূরণে কাজ করছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য- কোনো ঘর আর অন্ধকার থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কি. মি. বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করি এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা নেই। আমরা ৩২ হাজার নতুন সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে এসে আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি মাত্র ৩,২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট। ১৩ বছরে ৩০,৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এ সময়ে আমদানিসহ মোট ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছি ও ১৪৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বজন হারানোর শোক প্রেরণা দিয়েছে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার, দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। এটাই জীবনের লক্ষ্য।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।