867
Published on অক্টোবর 18, 2022আজ ১৮ অক্টোবর, ২০২২ইং, মঙ্গলবার, বিকাল ৩টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তানে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি। উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-বিশ্বে শিশু হত্যা ও নির্যাতন বিরোধিতার প্রতীকের নাম হয়ে থাকুক রাসেল। রাসেল আমাদের অন্তরে বেঁচে থাকবে চিরদিন। কিন্তু আজ আমরা রাসেলের জন্য শোকে বিলাপ করবো না। খুনিরা ওকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ওদের অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। রাসেল আজ বাংলার শিশু-কিশোর-তরুণদের ভালবাসার নাম। নির্যাতিত-নিপীড়িত-লাঞ্ছিত শিশুদের প্রতীক হয়ে গ্রাম বাংলার প্রতিটি লোকালয়ে রাসেল আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানবিক চেতনা আর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন যুবসমাজ রাসেলের বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শেখ রাসেল আজ আবর্তিত হয়েছে সকল শিশুদের উপর নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে। শুধু একজন রাসেল নয়, রাসেল কিন্তু পৃথিবীর হাজার হাজার রাসেলের প্রতীক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পৃথিবীতে প্রতিবছর হাজার হাজার রাসেলের অকাল মৃত্যু ঘটে। তিনি আরও বলেন-শেখ রাসেল দুনিয়ার সকল নির্যাতিত, নিপীড়িত শিশুর সাথে সাথে জায়ান চৌধুরীরও প্রতিচ্ছবি হয়ে আজ আত্মপ্রকাশ করেছে। শিশুদের অধিকার রক্ষা করা আমাদের আদর্শিক এবং নৈতিক দায়িত্ব। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়–ক শেখ রাসেলের মর্ম; শেখ রাসেলের চারিত্রিক গুণাবলি ও তাঁর নামের প্রতীকী তাৎপর্য অনুধাবন করে বাংলার প্রতিটি যুবক-যুবতি জাগ্রত প্রগতিশীল যুবসমাজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করুক, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন-১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান কুশিলব ছিলেন খন্দকার মোস্তাক এবং তার প্রধান সহযোগী ছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। আজকে জিয়াউর রহমানের দল মানবাধিকারের কথা বলে, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ক্ষান্ত হন নাই। তিনি নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তা ও জোয়ানকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। এইভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তার দল বিএনপি আজ মানবাধিকারের কথা বলে। তিনি আরও বলেন-বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা ফাটানো হয়েছে কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের সময় বিএনপি বিভিন্ন বিভাগে, জেলায় সমাবেশ করছে বিনা বাধায়। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন। তিনি বলেন-বিএনপির অবস্থা হয়েছে উড়ন্ত তেলাপোকা আর বর্ষাকালের ব্যাঙের আওয়াজের মত। আওয়াজ দিয়ে লাভ নেই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ লাগবে না, যুবলীগ একাই যথেষ্ট।
সম্মানিত অথিতির বক্তব্যে সেখ সালাহউদ্দিন জয়েল এমপি বলেন-১৯৭৫ সালের ঘাতকদের যেন বিচার না হয় সে জন্য খুনি জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এবং খুনিদের বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছে। এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তিনি আরও বলেন-১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। উনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য বাকি কাজটুকু আমাদের করতে হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-সেই দিনের জামাত-শিবির আজকের বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে ১৫ই আগস্টের ভয়াবহ হত্যাকা- ঘটিয়েছিল কিছু বিপথগামী সেনারা। ১৯৭৫ সালের খুনি জিয়া আর ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত খুনি তারেক জিয়া বাংলার ইতিহাসে দুটি কলঙ্কিত নাম। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ টাকা পাচারের মূলনায়ক তারেক জিয়া আজকে বিদেশে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে, এদেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে যুবলীগ এটাই হোক শেখ রাসেলের জন্মদিনের অঙ্গীকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নবী নেওয়াজ, আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, মোঃ এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোঃ মহিউদ্দিন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামামী, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ, উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীনসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।