আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বানচাল করতে নারী নেত্রীদের ওপর বোমা হামলা চালাতো বিএনপি সরকার

1019

Published on জানুয়ারি 3, 2023
  • Details Image

২০০১ সালের অক্টোবরে সরকারে যাওয়ার পর থেকে তিন বছরে দশ হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং র্নিযাতনের প্রতিবাদে গণঅনাস্থা কর্মসূচির ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি সফল করতে সারাদেশের সব সহযোগী এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দল গোছানোর অংশ হিসেবে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে টার্গেট করে করে বোমা হামলা শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় বৈঠকের সময় অতর্কিত বোমা হামলা চালিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া হয় নারী নেত্রীদের।

২০০৪ সালের ২৫ ডিসেম্বরের জনকণ্ঠ পত্রিকার সচিত্র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৈঠক চলাকালে একজন অপরিচিত তরুণ দরোজার ভেতর কিছু একটা ছুড়ে মারে। সেটা বুঝে ওঠার আগেই শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো দালান। নারীদের রক্তে রক্তাক্ত হয়ে যায় পুরো রুম। এই নির্মম হামলায় গুরুতর আহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং সাবেক এমপি জেবুন্নেচ্ছা হক, সম্পাদক রুবি ফাতেমা ইসলাম, কমিশনার শাহানারা বেগম, সিটি মেয়র বদরুদ্দিন কামরানের স্ত্রী আছমা কামরান, সালমা বাছির, বিভা রানী, মাধুরী মোহনসহ আরো অনেক নারী।

স্থানীয়রা জানান, হামলার কিছূক্ষণ আগে ওই বাসার নিচে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। হামলার পরপরই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এরপর আট নারী নেত্রীকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ৈ প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়। কিন্তু কারো পা, কারো হাত, কারো মুখ, কারো শরীরের অন্যান্য স্থানের আঘাতে চিরকালের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে।

কিন্তু ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এরপর বিএনপি সরকারের নির্দেশে আওয়ামী মহিলা লীগ সভাপতি জেবুন্নেচ্ছার বাড়ির কাজের মেয়েকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠিক এভাবেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া প্রকাশ্য জনসভায় এই দায় শেখ হাসিনার ওপরেই চালিয়েছিলেন। এবং পরবর্তীতে জনরোষ থেকে বাঁচতে জজমিয়া নামক এক সাধারণ দরিদ্র ব্যক্তিকে আটক করে তাকে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিতের মাধ্যমে 'জজমিয়া' নাটক সাজিয়েছিল বিএনপি সরকার। কিন্তু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আদালত বিস্তর তদন্ত শেষে জজমিয়াকে নির্দোষ ঘোষণা করে প্রকৃত হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করে। সেখানে হাওয়া ভবন, তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরো কিছু জঙ্গি নেতার নাম তথ্য-প্রমাণসহ বের হয়ে আসে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত