আমরা কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারব

4447

Published on আগস্ট 16, 2018
  • Details Image

তোয়াব খানঃ

১৫ই আগস্ট বাঙালির জীবনের ঘোর অমাবস্যার কলঙ্কময় দিন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারবর্গসহ নারী-শিশু নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যা শুধু নয়, বাঙালি জাতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। এদিন সকালের বেতার ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রতিটি পদক্ষেপে ঘাতকচক্র বাঙালি তথা বাংলাদেশবিরোধী অভিসন্ধির ছাপ সুস্পষ্ট করে রেখেছে। ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষণা থেকে শুরু করে জয় বাংলার পরিবর্তে জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় পাকিস্তানি কায়দায় রেডিও বাংলাদেশ, উজির-নাজির, সদর ইরিয়াসত ইত্যাদি বচন আমদানি করতে গিয়ে হোঁচট খায় সম্ভবত বিপদাশঙ্কায়। পাকিস্তানি সন্দেহে জনগণ যদি মারমুখো হয়ে ওঠে। তাই কিছু সতর্কতা। সাঙ্গাতরা পিল পিল করে একে একে রেডিও স্টেশনে হাজির হয়। দু-একজন লুঙ্গি পরেই চলে এসেছিল। যাদের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রপতিকে রক্ষার, লাইন দিয়ে খুনির পায়ে আনুগত্যের অঞ্জলি নিবেদন করে।

১৫ই আগস্ট সকালের চিত্রটি এমনিভাবেই গড়াতে থাকে। শুধু দুটি বাক্য মুখে মুখে ফিরছিল। একজন বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে বাড়ি থেকে পালাতে। অন্যজন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে বলেছিলেন, ‘সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার।’

দিনের শেষে রাতের অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির জীবনের অমাবস্যার কালও শুরু হয়ে যায়।

কিন্তু খুনিরা কেন ৩২ নম্বরে গণহত্যার তারিখ ১৫ই আগস্ট নির্ধারণ করেছিল? আগস্টের এই সময়টা কী কারণে তাদের কাছে প্রকৃষ্ট বলে মনে হলো? ১৯৭৫ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মোড় নিতে যাচ্ছিল। প্রধান সমস্যা ছিল খাদ্য, সবজি, লবণ ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধুর নিরন্তর উদ্দীপক অভিযানে মানুষ যেখানে যতটুকু জমি পেয়েছে সেখানেই ফসল ফলানোর চেষ্টা নিয়েছে। ফলে ধান, সবজি, মরিচ, লবণ ইত্যাদির বাম্পার ফলনের সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

ঔপনিবেশিক আমলের ঘুণে ধরা প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে বঙ্গবন্ধু নতুন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। জেলায় জেলায় গভর্নর নিয়োগের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় প্রশাসনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জেলা গভর্নরদের প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পথে। জেলায় জেলায় জাতীয় দলের সাংগঠনিক অবকাঠামো একটি সুস্পষ্ট রূপ নিতে যাচ্ছে।

খুনিদের মোড়লরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা কম্পিউটারের ছকে ফেলে অঙ্ক কষে সম্ভবত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, এটাই আঘাত হানার উপযুক্ত সময়। দেরি হয়ে গেলে ফসলের বাম্পার ফলন, নতুন জনভিত্তিক প্রশাসনিক অবকাঠামোর সুফল এবং সুসংগঠিত জাতীয় রাজনৈতিক দলের জোয়ার—সব ফসলই বাংলাদেশের জাতির জনক একসঙ্গে তুলতে পারবেন। তখন তাঁকে কোনোমতেই আর আটকানো যাবে না। পিএল ৪৮০-র খাদ্যশস্য দেওয়া বন্ধ হোক বা পাট বিক্রিতে রক্তচক্ষুর শাসানি, কোনো কিছু তিনি পরোয়া করবেন না।

অতএব ১৫ই আগস্ট

কিছু বাড়তি সুবিধাও তাদের কম্পিউটার ছকে ছিল। ১৪ই আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। আর ১৫ই আগস্ট ভারতের। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতারা ব্যস্ত থাকবেন উৎসবে বা ছুটি ভোগে। তাই তাৎক্ষণিক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের আশঙ্কাও কিঞ্চিৎ কম। পাকিস্তানিরাও ছুটির পরে কোমর বাঁধার সময় পাবে।

কম্পিউটারে ছক কষে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাধর শক্তি আর তাদের অনুচর দেশটির এহেন হীন চক্রান্তে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা খুব ভালো করেই জানে মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশের মূল ভিত্তিতে মোক্ষম আঘাত হানা যাবে। যে চারটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ তাও ধসিয়ে দেওয়া যাবে। তাদের চক্রান্তের হাতিয়ার হিসেবে একে একে শামিল হয়েছে মীরজাফরের ভাবশিষ্য মুজিবনগর সরকারেরই মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ, আমলা মাহবুব আলম চাষী, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা, যার মুক্তিযোদ্ধা অভিধা নিয়ে সেদিন কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বেশির ভাগ সদস্যকে মোশতাক-চাষী-ঠাকুর চক্র ছলেবলে কৌশলে মন্ত্রী বানিয়ে ফেলে। বিভ্রান্তির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। কম্পিউটারে ছক করা কুচক্রীরা নাকি তাদের মহাচক্রজালের প্রাথমিক পর্যায়ে কখনোই নিজস্ব খাস লোক সামনে আনে না। প্রাথমিক ঝড়ঝাপটার শেষে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে আসল ব্যক্তি স্বরূপে আবির্ভূত হন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ৭ নভেম্বরের তথাকথিত সিপাহি-জনতার সশস্ত্র অভ্যুত্থানে সৃষ্ট নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সামাল দিতে আবির্ভাব ঘটে ‘সত্যিকারের নেতা’র। তিনি বনে যান ত্রাণকর্তা। জেনারেল জিয়া জেলে পাঠান ঘৃণিত খন্দকার মোশতাককে। আর তাঁর উদ্ধারকারী কর্নেল তাহেরকে অচ্ছুত বানিয়ে অচিরাৎ জেলে পোরা হয়। ১৫ই আগস্ট গণহত্যার পর শাপগ্রস্ত জাতির জীবনে শুরু হয় কালো অধ্যায়ের আরো এক পর্ব। জেলের মধ্যে রেখে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জিয়া কোনো দিনই জেলহত্যার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেননি।

খন্দকার মোশতাকের হেডগিয়ার (টুপি) আর বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা পাকিস্তানীকরণের ধারাবাহিকতায় একের পর এক সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে থাকেন। কলমের এক খোঁচায় সংবিধানের মৌল চার নীতি সংশোধন হয়ে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থানে আসে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জাতিসত্তার এমন অদ্ভুত অভিধার পরিণতি কী দাঁড়াতে পারে তা স্রষ্টারা দেখে যেতে পারেননি। অনেকেই ইন্তেকাল করেছেন। দুনিয়ার শোষিত মানুষের সংগ্রামে শরিক হওয়ার, ঘোষণাটি হয়ে গেল ইসলামী দুনিয়ার সংহতি। আর সমাজতন্ত্র সমূলে উপড়ে ফেলে বসল জনকল্যাণের কথা। ধর্মনিরপেক্ষতা ধারাটি বাতিল করে এলো সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস। আর বঙ্গবন্ধু বা জাতির পিতা সংবিধানে স্বীকৃত এই শব্দগুলো টানা ২১ বছর সরকারের কোনো দলিল-দস্তাবেজ, কাগজপত্র বা রাষ্ট্রের কর্ণধারদের জবানে একবারের জন্যও উচ্চারিত বা লেখা হয়নি।

কবি শামসুর রাহমানের ভাষায় ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর অবস্থার কিছু পরবর্তন ঘটে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট গণহত্যার পর দেশটা বস্তুতপক্ষে আধা ফ্যাসিস্ট কায়দায় শাসিত হচ্ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হঠাৎ করে নয়, ধাপে ধাপে ছাত্রনেতা থেকে যুবনেতা, যুবনেতা থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মঞ্চে প্রবেশ করেন।

১৫ই আগস্ট গণহত্যার জল্লাদরা, তাদের দোসর পাকিস্তান আর কম্পিউটারে ছক কষা তাদের মোড়লরা দুর্ভিক্ষ অবস্থায় খাদ্যের জাহাজ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েও যখন দুর্দমনীয় শেখ মুজিবকে ঘায়েল করতে পারল না, তখন গণহত্যার পথই তারা বেছে নেয়।

এবার কিংবদন্তির কথা

কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কিংবদন্তির কথায় বলেছেন:

‘আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি—/তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল/তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।/তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন/অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন/পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন/তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।/জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা,/কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।’ 

এবার আমাদেরও কিংবদন্তির কথা বলতে হবে। কারণ মিথ্যার অরণ্য, শ্বাপদের মুখোশ খুলতে হবে।

আমাদের পিতৃপুরুষ পলিমাটির সৌরভে আচ্ছাদিত। তাঁর বুকেও রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল।

তিনিও কবিতার ভাষায় কথা বলতেন। রেসকোর্স ময়দানে অজুত লক্ষ কোটি সন্তানকে ডাক দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম.... ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো।’

পাকিস্তানের জবরদস্ত সামরিক শাসকদের নাকের ডগায় বাস করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার সপক্ষে এর চেয়ে বলিষ্ঠ ও পরিষ্কার আশ্বাস আর কি হতে পারত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তো তখনই শুরু হয়ে গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে কোনো সমরনায়ক বা সেনাপতির আহ্বানে শুরু হয়নি। তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা আর কে বলতে পারবে? তিনি তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন। বলেছেন : ‘আমরা ভাতে মারব। আমরা পানিতে মারব।’

তিনি স্বপ্নের মতো সত্য ভাষণে কথা বলতেন। তিনি বলতেন : ‘স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোনো ধর্মীয় ভিত্তিতে হবে না। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এ দেশের কৃষক শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সুখে থাকবে। শান্তিতে থাকবে।’

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি/আমি আমার পিতৃপুরুষের কথা বলছি।/তাঁর বুকে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল/আমি একগুচ্ছ রক্তজবার কথা বলছি।

তিনি (বঙ্গবন্ধু) ১০ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে রেসকোর্স ময়দানের সংবর্ধনা সভায় আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমার ফাঁসির হুকুম হয়েছিল। আমার শেলের পাশে আমার কবরও খোঁড়া হয়েছিল। আমি মুসলমান, আমি জানি মুসলমানমাত্র একবারই মরে। তাই আমি ঠিক করেছিলাম, আমি তাদের কাছে নতি স্বীকার করব না। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা, জয় বাংলা।’

বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন পাকিস্তানি কারাগার থেকে স্বদেশভূমিতে।

তখন আমরা পর্বতের মতো অবিচল/এবং ধ্রুবনক্ষত্রের মতো স্থির লক্ষ্য হলাম।/আমি কিংবদন্তির কথা বলছি/আমি আমার পিতৃপুরুষের কথা বলছি।/আমি স্থির লক্ষ্য মানুষের/সশস্ত্র অভ্যুত্থানের কথা বলছি/শ্রেণিযুদ্ধের অলিন্দে/ইতিহাসের বিচরণের কথা বলছি/আমি ইতিহাস এবং স্বপ্নের কথা বলছি।/স্বপ্নের মতো সত্য ভাষণ ইতিহাস।

আমি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহারের কথা বলছি।

এ রকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কী ঘটেছে তার কথা একবার স্মরণ করলেই এ ঘটনার বিশাল তাৎপর্য উপলব্ধি করা যাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর যে সংলাপ হয়েছিল তা যেমন কৌতূহলোদ্দীপক তেমনি আলোকসঞ্চারী। একটু উদ্ধৃতি :

‘বঙ্গবন্ধু : মাদাম, আপনি কবে নাগাদ বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করবেন?

ইন্দিরা গান্ধী : বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তো এখন পর্যন্ত নাজুক আছে। পুরো সিচুয়েশন বাংলাদেশ সরকারের কন্ট্রোলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কি বাঞ্ছনীয় নয়? অবশ্য আপনি যেভাবে বলবেন সেটাই করা হবে।

বঙ্গবন্ধু : মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রায় ৩০ লাখ লোক আত্মাহুতি দিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতির জন্য আরো যদি লাখ দশেকের মৃত্যু হয় আমি অবস্থাটা বরদাশত করতে রাজি আছি। কিন্তু আপনাকে অকৃত্রিম বন্ধু বলেই বলছি, বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।

ইন্দিরা গান্ধী : এক্সিলেন্সি, আমার সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আগামী ১৭ মার্চ বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে।

বঙ্গবন্ধু : মাদাম, কেন বিশেষ দিন ১৭ মার্চের কথা বললেন?

ইন্দিরা গান্ধী : এক্সিলেন্সি, প্রাইম মিনিস্টার ১৭ মার্চ আপনার জন্মদিন।’

(উদ্ধৃতি : বঙ্গবন্ধু, কবীর চৌধুরী)

বঙ্গবন্ধুর আরেকটি বড় সাফল্য স্বাধীনতার ৯ মাসের মধ্যে দেশকে একটি চমৎকার সংবিধান উপহার দেওয়া।

‘আমরা কি তাঁর মতো কবিতার কথা বলতে পারব

আমরা কি তাঁর মতো স্বাধীনতার কথা বলতে পারব।’

লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ

সৌজন্যেঃ কালের কণ্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত