বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ

3820

Published on জুলাই 9, 2019
  • Details Image

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.):

আজকের শিরোনামটি আমার নিজের নয়। গত সপ্তাহে সিরডাপ মিলনায়তনে এই শিরোনামে একটা বড় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। সেই সূত্রেই আজকের লেখা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী হবে। এটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য জাতীয় কমিটি করা হয়েছে, যার সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতির সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা আমরা পেয়েছি।

গ্রীষ্মকালীন দাভোস নামে পরিচিত চীনের বন্দর নগরী দালিয়ানে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভায় যোগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সয়াব জানিয়েছেন আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ঢাকায় বড় আকারের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। তারপর ২০২১ সালে দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ফোরামের সম্মেলনে মেইন ফোকাস হবে বাংলাদেশ। একবার চিন্তা করুণ যে বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিশ্ব ক্ষুধা, দারিদ্র্যপূর্ণ ঝড় তুফানের দেশ হিসেবে গণ্য করত, সেই বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে যেভাবে সম্মানিত করা হচ্ছে তা এক সময়ে ভাবাই যায়নি। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। এটা সম্ভব হয়েছে এ কারণে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে টানা ১১ বছর দেশ পরিচালনা করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

আদর্শ ও চেতনার শক্তির চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। যুগে যুগে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি সম্রাট নেপোলিয়ান সেন্ট হেলেনার নির্বাসিত জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার নাবালক পুত্রকে এক চিঠির মাধ্যমে বলেছিলেন, পৃৃথিবীতে দুটি শক্তি রয়েছে। একটি চেতনার শক্তি, অপরটি তলোয়ারের শক্তি। শেষ বিচারে তলোয়ারের শক্তির ওপরে চেতনার শক্তিই বিজয় লাভ করে। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই চেতনার শক্তির মর্ম উপলব্ধি করেছেন তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে। অসমাপ্ত আত্মজীবনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর নিজের নোটবই থেকে একটি উদ্ধৃতি ছাপা হয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবী। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে’।

বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের শোষণ, নির্যাতন ও পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সংগ্রামের এক চরম যুগসন্ধিক্ষণে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে তার বিশ্বাসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন বলেই স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষের জীবন বিসর্জন দিতে বাঙালি জাতি পিছপা হয়নি। আমরা যারা একাত্তর দেখেছি তাদের শিরা-উপশিরায় এখনো স্পন্দন শুরু হয় সে কথা মনে এলে। কী সে উত্তেজনা, অদম্য, অদমিত। তাই আজকের বাংলাদেশে একটা চিহ্নিত গোষ্ঠী যখন বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার চেষ্টা করে, অবমাননা করতে চায় তখন একাত্তরের কথা মনে পড়ে। আরেকটি একাত্তরের আকাঙ্ক্ষা মনে জাগ্রত হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২৮ আগস্ট লন্ডনের দ্য লিসনার পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর ওপর এক বিশাল প্রতিবেদন ছাপে। তাতে বলা হয়- ‘শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনগণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে তখন নিঃসন্দেহে বুলেটে ক্ষতবিক্ষত তার বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তার কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে’। দ্য লিসনার পত্রিকার সেদিনের কথা আজ সত্য হয়েছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে সর্বত্রই শেখ মুজিবুর রহমান আজ বিরাজ করছে।

১৯৭৫ সালের পর এদেশীয় পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা মৃত মুজিবের ওপর আঘাতের পর আঘাত করেও কিছু করতে পারেনি। সোনার মতো প্রতি আঘাতেই তিনি আরও উজ্জ্বল হয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ তো বটেই, বিশ্বের সব কর্নারের মানুষসহ তার শত্রুরাও আজ স্বীকার করছেন, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব আজ শতগুণ শক্তিশালী। একটি অজপাড়াগাঁয়ের ছেলে মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত দুঃখী মানুষের মুক্তির জন্য যে পথ দেখিয়ে গেছেন এবং নিজের জীবন ও কর্মের ভিতর দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন তা পৃথিবীতে বিরল। একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী থেকে নেতৃত্বের সর্বোচ্চ সোপান, রাষ্ট্রনায়ক। কিন্তু চলিতকাল স্বল্প। এই স্বল্প সময়ে রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি ও তার সব বৈশিষ্ট্যের পূর্ণ পরিস্ফুটন ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের মধ্যে। অকুতোভয় সাহস, দিগন্তছেদি দূরদৃষ্টি, সীমাহীন ত্যাগ, সব প্রকার বস্তুগত প্রলোভনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান, মানুষের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা, মানবতার প্রতীক ক্ষমা করার উদারতা, প্রতিহিংসা প্রতিশোধমুক্ত মন, সব কিছু তিনি আত্মস্থ করেছিলেন এই স্বল্প জীবনের পরিসরে। আর এর মূল উৎস ছিল বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।

বঙ্গবন্ধুর কথা ও সুর আর বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের কথা ও সুর ছিল এক ও অভিন্ন। যে কারণে হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো বাংলাদেশের মানুষ তার পেছনে ছুটেছে, মৃত্যুকে পরোয়া করেনি। তাই শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। একটি দেশ, একটি জাতি ও তার সঙ্গে মিশে থাকা সব চেতনা, সেই চেতনার উৎসমূল এবং আদর্শের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব দরবারে দাঁড়িয়ে তিনি নির্দ্বিধায় বলেছেন, বিশ্ব এখন দুই ভাগে বিভক্ত- শোষক ও শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে। বিশ্বের শোষিত মানুষকে তিনি শিখিয়েছেন, মরতে শিখলে সে জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি শুধু হুকুম দেননি। সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন। কী নেতা, আর কী তার সাহস। ভাবা যায়। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল গুলি চালাতে চালাতে বাড়ির ভিতরে ঢুকছেন, আর স্থিরচিত্তে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। নিজের রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কী রকম পরিস্থিতি, কল্পনায় এনে একবার ভেবে দেখুন। এমন উদাহরণ বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই।

এই নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর হওয়ার জন্য ত্যাগের উদাহরণ যদি সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ, নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, তিনি বাঙালির মুক্তির প্রশ্নে ছিলেন আমৃত্যু আপসহীন। পুরো সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু একাধিকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু একটিবারের জন্যও অস্থির হননি, কারও করুণা প্রত্যাশা করেননি। বরং দৃঢ়চিত্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। ষাট দশকের শেষের দিকে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে হত্যা করতে চেয়েছেন। তিনি মাথানত করেননি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে নামেমাত্র বিচারের মহড়া করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। কবর খুঁড়ে সেই কবর তাকে দেখানো হয়। কিন্তু স্থির ও দৃঢ়চিত্তে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের সব আপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ওকালতনামা ফিরিয়ে দেন, স্বাক্ষর করেননি। বঙ্গবন্ধুর জীবনের আকাশসম গুণাবলি এবং পথচলার এত বিশাল নির্দেশনা, এগুলো বাংলাদেশের জন্য তো বটে, সারা বিশ্বের মানুষের কল্যাণের জন্য যদি উন্মুক্ত করা যায়, তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সেটাই হবে প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক ও উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল কথাই ছিল- সবার সহাবস্থান এবং সম্প্রীতি। তিনি হৃদয় দিয়ে বুঝেছিলেন বাঙালি জাতির মূল শক্তি তার বাঙালি সংস্কৃতি। যার মূল কথা অসাম্প্রদায়িকতা। সব ধরনের সাম্প্রদায়িক বিবেচনাকে পেছনে ফেলে সবার এক জায়গায় উপনীত হতে পারলে বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এ শক্তির কারণেই বিশ্বের বড় পরাশক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৯ মাসের মাথায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। তাই নিঃসন্দেহে বলতে হবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এবং ওই সময়ে তিনি বাঙালি জাতির নেতৃত্বে না এলে এমন সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হতো না এবং বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন হতে পারত না। কিন্তু বাঙালি জাতির করুণ ট্র্যাজেডির সূচনা হয় ১৯৭৫ সালে। একাত্তরের ওই দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তির পাল্টা আক্রমণে বঙ্গবন্ধু নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসা প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বাঙালি সংস্কৃতিপ্রসূত সব নিদর্শন ও চেতনাকে মুছে ফেললেন। শুরু হয় নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি অধ্যায়ের। আবার ফিরে আসে পাকিস্তানি আদলের চরম সাম্প্রদায়িকতা। নষ্ট হয় সম্প্রীতির বন্ধন। তাতে রাষ্ট্রের কত বড় ক্ষতি হয়েছে সেটি বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

দেশি-বিদেশি পন্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে পঁচাত্তরের পর পুনঃপ্রবর্তিত ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি থেকেই চরম ধর্মান্ধ উগ্রবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্ম ও উত্থান ঘটেছে। এই চরম সর্বনাশ থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্যই বঙ্গবন্ধু ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে মৌলিক আদর্শ হিসেবে সন্নিবেশিত করেন ধর্মনিরপেক্ষতা। এটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সংবিধানের ১২ ও ৩৮ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলে দিলেন- ধর্মের নামে ও ধর্ম নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। পাকিস্তানি শাসনের ২৩ বছরে চরম ত্যাগের অভিজ্ঞতায় বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন রাজনীতির মধ্যে ধর্ম এলে রাজনীতি ও ধর্ম দুটোই বিনষ্ট হবে। তিনি বিশ্বের প্রথম নেতা যিনি ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং একই সঙ্গে দুটির মধ্যে স্পষ্ট একটা বিভাজন রেখা তৈরি করে দিয়েছেন।

ধর্ম তার পরম মর্যাদায় থাকবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ও মর্যাদা ভোগ করবে। কমিউনিস্টদের ও কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষতা তিনি অনুসরণ করেননি। তাই বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা বিশ্বের মধ্যে অনন্য এবং বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে শতভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ, কোথাও কোনো দ্বন্দ্ব নেই। গত প্রায় ১১ বছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়, জঙ্গি দমনে রোল মডেল এবং বিশ্ব অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। সব বিষাদ অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমরা রাষ্ট্রকে সঠিক পথে আনতে সক্ষম হয়েছি। সুতরাং জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকীতে প্রতিটি বাঙালির শপথ হবে- আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সম্প্রীতির বাংলাদেশকে চিরন্তর করব।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

প্রকাশঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত