৭ মার্চ, ১৯৭৬ : কেমন ছিলো সেই দিনটি?

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল): ৭ মার্চ এখন ৫১’য়। সংগত কারণেই সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে ৭ মার্চ। আর এবারের ৭ মার্চের ঠিক আগ দিয়ে মন্ত্রিসভায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি ৭ মার্চে অন্যরকম দ্যোতনা যোগ করেছে। ৭ মার্চে এই গৌরবকালে একটু ফিরে তাকানো যাক ১৯৭৬ সালের দিকে। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে সে বছর...

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াঃ ‘স্বাধীনতা’ এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো! বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে উপজীব্য করে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম খ্যাতিমান কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায়- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রামএবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামসেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রাজনীতির কবি জাতির পিতা বঙ্গ...

যে ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক

বিভুরঞ্জন সরকারঃ ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিনেই স্পষ্ট হয়েছিল যে বাঙালি আর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে রাজি নয়। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা বেতারে প্রচার হয়েছিল দুপুর ১টা ৫ মিনিটের খবরে। খবর শেষ হওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। স্লোগান ওঠে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। সত্তরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছ...

কবিতার বীজমন্ত্র

এম নজরুল ইসলামঃ একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়েলক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছেভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে-কখন আসবে কবি?কখন আসবে কবি? কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় এভাবেই উঠে এসেছে শেষ ফাল্গুনের এক দৃপ্ত বিকেলের কথা। পাতাঝরার দিনে বাঙালী জাতির মনের একান্ত স্বপ্ন তুলে ধরেছিলেন তিনি। ১৯ মিনিটের অসাধারণ ও বহুমাত্রিক ছন্দম...

দুনিয়া কাঁপানো এক মহাকাব্যের গল্প

তোফায়েল আহমেদঃ ১৯৭১-এর ঐতিহাসিক সাতই মার্চ, এই দিনটির জন্যই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন ‘একদিন বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা বাঙালীদেরই হতে হবে।’ সেই পথেই তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন। মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদ...

ঐতিহাসিক ৭ মার্চঃ রাজনৈতিক কবির গাণিতিক যুক্তি

আনিস আহমেদঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিস্ময়কর এক বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। আবেগ ও যুক্তির সমন্বয়ে গঠিত এমন একজন তুখোড় রাজনীতিক, যিনি যথার্থই জানতেন কখন কীভাবে কোন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তার মধ্যে যেমন ছিল এক অসাধারণ আত্মবিশ্বাস, তেমনি ছিল অন্তর্নিহিত এক সারল্য। যে সারল্য অসময়ে তার সফল ও বর্ণাঢ্য জীবনের অকাল অবসান ঘটাল। কিন্তু ৫৫ বছরের এই জীবনে, সেই টুঙ্গিপাড়ার এক অজপা...

স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা

মাহবুবউল আলম হানিফ: বাংলাদেশের স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ৭ই মার্চ। মূলত ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ২৩ বছরের বঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। তাঁর অসামান্য এই ভাষণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় মেলে। সেই দিন বাংলা...

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ (রঙ্গিন সংস্করণ)

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  পুর্ণাঙ্গ ভাষনটি নিম্নরূপ আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে ...

বঙ্গবন্ধুর হাতেই শুরু বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা

হীরেন পণ্ডিত: ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশের উদ্দেশে রওনা হলেন। ১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করে যাত্রা করেন ঢাকার উদ্দেশে। বিমানটি তেজগাঁও বিমানবন্দর স্পর্শ করে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ বাঙালির ভালোবাসা আর স্নেহের পরশ ভেদ করে পৌঁছাতে বঙ্গবন্...

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা

হীরেন পণ্ডিতঃ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ লাখো মানুষের পদচারণায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শ্লোগানের শহর ঢাকা। রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্রে অপেক্ষা করছেন দশ লাখের বেশি স্বাধীনতাকামী মানুষ। শুধু একটা ঘোষণা বা ডাকের অপেক্ষায়, আগের দিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি উত্তেজনায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন- বঙ্গবন্ধু আজ কী বলবেন- ক...

জয় বাংলাঃ একটি শ্লোগান, একটি চেতনা, একটি প্রেরণা

হীরেন পণ্ডিত: জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার এই নির্দেশনা জারি করেছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। কখন ও কোথায় জয় বাংলা শ্লোগান ব্যবহার করতে হবে? মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘তিন-চারটি ক্যাটাগরির কথা রায়ে উল্ল...

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি অনন্য রণকৌশল দলিল

স্কোয়াড্রন লিডার (অব) এম সাদরুল আহমেদ খান: বিংশ শতাব্দী মহান নেতাদের কয়েকটি যুদ্ধবক্তব্য উপহার দিয়েছিল, যা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ দিয়েছিল, নেতারা তাদের বক্তৃতা এবং দুর্দান্ত নেতৃত্বের দ্বারা মানুষকে বোঝাতে, সংগঠিত করতে এবং উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। এমনই কয়েকটি উল্লেখ করার মত যুদ্ধবক্তব্য ছিল ১৯৪০ সালের ১৩মে ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী উইনস্টন ...

ছয় দফা এবং ২৫ মার্চের কালরাত

অধ্যাপক রশীদুল হাসানঃ ১৯৬৬ সালের ২৫ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি, তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও এম মনসুর আলী সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত আরটিসি সম্মেলনে শেখ মুজিব বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব শেখ মুজিব ও আওয়ামী লী...

৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীনতা ঘোষণার প্রথম আনুষ্ঠানিকতা

এম. নজরুল ইসলামঃ  পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্মের ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাঙালীর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত...

ঐতিহাসিক ১১ মার্চ এবং বঙ্গবন্ধু

অধ্যাপক ডঃ কামরুল হাসান খানঃ বাঙালির ভাষা আন্দোলনে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনের ধর্মঘটের মাধ্যমে আন্দোলন দানা বাধে ও বেগবান হয়- যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের নাজিমুদ্দিন সরকার চুক্তি করতে বাধ্য হয় এবং আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে বিরোধী দলের পক্ষে কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সদ...

ডিজিটাল বাংলাদেশ: উত্তাল মার্চের অগ্নিগর্ভ থেকে আজ বিশ্বের বিস্ময়

তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ যে মহাকাশের রাজত্বেও ভাগ বসাবে, তা হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে এখন পৃথিবীর কক্ষপথজুড়ে ঘুরছে আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলেও পৌঁছানো হচ্ছে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সেবা, টেলি-মেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-ব্যাংকিং থেকে শুরু করে যাবতীয় ভার্চুয়াল সুযোগ-সুবিধা। এর মাধ্যমে, সাইবার ক্যাবলের ...

৭ মার্চের ভাষণ : পটভূমি ও তাৎপর্য

৫০ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কী পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সেই ইতিহাস বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন? ১৯৭০-এর ৭ ডিসেম্...

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের পরিণতি মহান মুক্তিযুদ্ধ

সময়টা ছিল যুদ্ধমুখর। কয়েক দশক ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম চলছিল। একদিকে কমিউনিস্টদের বিপ্লব চলছিল, অন্যদিকে মুক্তির জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধে লিপ্ত ছিল বিশ্বের বেশ কয়েকটি রণাঙ্গণ। তবে, বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের স্বাধীনতার এই যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত। ১৯৭০ স...

বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেন

হীরেন পণ্ডিতঃ গণতান্ত্রিক চেতনায় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মতো জাতির দিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো যে অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল সেইসব ঘটনার কেন্দ্রে নিহিত গণতান্ত্রিক চেতনায় আজও আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে এর যথাযথ বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়া ও ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৯৩টি রাষ্ট্রে প্রতি বছরে ...

বিচ্ছিন্নতা দূর করে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ভাষা

এম. নজরুল ইসলাম: বাঙালির মেরুদন্ড মাতৃভাষা বাংলা-এই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পাকিস্তানের জন্ম থেকেই বাঙালিরা ছিল সোচ্চার। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন করাচীতে শুরু হলে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষার ওপর একটি সংশোধনী প্রস্তাবে বলেন, উর্দু এবং ইংরেজীর সঙ্গে বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হোক। সংশোধনী ...