হাসনাইন হক ইজাজ চৌধুরীঃ ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা উত্থাপন করেন। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং প্রতিটি রা...
ইয়াসির আরাফাত তূর্যঃ বাঙালি জাতির মুক্তির প্রমিথিউস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ''একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি, একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা ,অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।" বাঙালির প্রতি...
মাহমুদুল হাসান (ইমন): ১৯৪৭ সালে স্যার রেডক্লিফের আঁকা মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথক দুটো রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল- ভারত ও পাকিস্তান। ভারতকে একটি খণ্ডে ভাগ করা হলেও, পাকিস্তানকে ভাগ করা হয়েছিলো দুটো খণ্ডে। একটি পশ্চিম পাকিস্তান, আরেকটি হলো পূর্ব পাকিস্তান। এই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন টুঙ্গিপাড়ার খোকা বাবু। তাই তো একটা জাতিকে স্বাধীনতা...
মো. জুয়েল হোসেনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতেই বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়। এই দাবিগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাওয়ার পর, স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে আপামর জনতা। তবে এই ছয় দফা কোনো রাতারাতি কর্মসূচি ছিল না। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭ এর ভারত-ভাগ, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম, ...
মো. আসাদ উল্লাহ তুষারঃ বাঙালির মুক্তির সনদ 'ছয় দফা' যে 'ছয় দফা' ছিল না, 'ছয় দফা'র চূড়ান্ত লক্ষ যে 'এক দফা' ছিল, তা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। যে কারণে ছয় দফা ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে এক সুতায় গাঁথতে ধীরে ধীরে তৈরি করছিলেন। তা করতে গিয়ে যে আন্দোলন সংগ্রাম করত...
তোফায়েল আহমেদঃ ১৯৬৬-এর ৭ই জুন পাকিস্তানের তদানীন্তন সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাংলার গণমানুষ স্বাধিকার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৭ জুন সামরিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। বাংলা মায়ের দামাল সন্তানরা এদিন তাদের জীবন উৎসর্গ করে গ...
ড. এম এ মাননানঃ বঙ্গবন্ধুর পদচারণা এ দেশের অনেক কিছুতেই। সমতলের মেঠোপথ, হাওর-বাঁওড়ের কূলঘেঁষা সবুজ গ্রাম, সাগরপাড়ের মৎস্যজীবী অঞ্চল, পাহাড়ের অরণ্যভূমি, নদী সিকস্তির নিম্নভূমি, শহরের অলিগলি, কোথায় ছিল না তার পদচারণা। সদর্প পদচারণা ছিল রাজনীতির সুবিশাল ময়দানে, অর্থনীতির পরতে পরতে, শিল্পাঞ্চলের মেহনতি মানুষের আঙিনায়। অনেক পদচারণার অন্যতম ছিল পাকিস্তানি সামরিক শ...
মাহফুজ উল্লাহঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দিন ৭ই জুন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম এ দিনটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। জানবার কথাও নয়। তরুণদের তো আর দেশের ইতিহাস পড়ানো হয় না। যা পড়ানো হচ্ছে তা খণ্ডিত চিত্র, যা ঘটেছে তার বর্ণনা ও প্রতিক্রিয়া নয়। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে যে প্রজন্ম জড়িত সে প্রজন্মের প্রত্যেকের কাছেই ৭ জুন পরিচিত তারিখ। সমর্থন অথবা ...
বাঙালি জাতির ইতিহাসে ছয় দফা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাঙালির ম্যাগনাকার্টা বলা হয় একে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে এই ছয় ছফাকে উল্লেখ করেছেন 'আমাদের বাঁচার দাবি' বলে। হ্যাঁ, পাকিস্তানি জোঁকদের শোষণে রক্তশূন্য হয়ে পড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতির তখন মৃতপ্রায়, ঠিক এমন একটি সময় বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর ...
অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরঃ দরিদ্রতা, জাতিগত ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব মূলত এই পৃথিবীতে অশান্তির কারণ। এই অশান্তিকে যদি শান্তিতে রূপান্তর করতে হয় তাহলে দরিদ্রতা, জাতিগত ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব পৃথিবী থেকে দূর করার বিকল্প নেই। কথাটি বলা সহজ হলেও এর প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল ব্যাপার, যা আমরা বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অতিমাত্রায় পরিলক্ষিত করছি। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চ...
ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলঃ নিজের জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী অর্জনটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধুর যে বিশালত্ব তা কোন পদকের মাপকাঠিতে মাপার চেষ্টা বাতুলতা মাত্র। তারপরও একটি পদকের কথা ঘুরে-ফিরেই চলে আসে। আশির দশকের শেষের দিকে আর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করিডোরে ‘জুলিও কুরি শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ শ্লোগানে যে ...
সুভাষ সিংহ রায়ঃ আজ ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী । ১৯৭৩ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্যে ‘জুলিও কুরিও’ পদক প্রদান করে। আশির দশকের শুরুতেই ছাত্র রাজনীতির একজন কর্মী হিসেবে শ্লোগান দিতাম, ‘জুলিও কুরি শেখ মুজিব শেখ মুজিব ল...
স্কোয়াড্রন লিডার ( অব) সাদরুল আহমেদ খানঃ ঈদ মানেই আনন্দ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে উঠে, এটাই আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশের আর দশজন সাধারণ মানুষের মত ছিল না। কারণ স্বাধীনতার আগে, জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি জেলহাজতে কাটিয়েছিলেন। ফলে স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধুর অনেক ঈদও...
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, গোপালগঞ্জের অজপাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। দেশ স্বাধীনের পর তাই ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে নিয়েছিলেন যুগোপোযুগী পরিকল্পনা। তার সময়োচিত সিদ্ধান্তগুলোই আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাফল্যের শিখরে। ক্রীড়ার প্রতি ঝোঁক থেকেই, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই বঙ্গবন্ধু নজর দিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে। ১৯...
আমিনুর রহমান সুলতানঃ বর্তমান বিশ্বে নারী পুরুষের জৈবিক পরিচয়ের বাইরে সামাজিক ভিত্তির ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জেন্ডার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু তার আগে ১৯৪৭-এর পর পাকিস্তানি শাসনামলে পূর্ব বাংলার নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা পায়নি জৈবিক ভিত্তির কারণ...
এম. নজরুল ইসলামঃ ১৭ এপ্রিল। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে একটি ঐতিহাসিক ধাপ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বাঙালী জাতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা কেবলই নিপীড়িত হয়েছে। বাঙালীকে বঞ্চিত করা হয়েছে প্রতি পদে পদে। ১৯৭০-এ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ...
ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিঃ ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় (পরবর্তী সময়ে যার নামকরণ হয় মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথগ্রহণ করে। সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে যুদ্ধকালীন এই সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্...
ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া: শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন আসলে কেমন ছিল? সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উনি কীভাবে গড়তে চেয়েছিলেন? আর আমরা আজ কোথায় আছি? বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এই মহালগ্নই হতে পারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার একটি মোক্ষম সময়। তাই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার ওপর আলোচনা করাই এই প্রবন্ধের মূল লক্ষ্য। মূলত- দেশের সামা...
স্কোয়াড্রন লিডার(অব) সাদরুল আহমেদ খান: শুভ নববর্ষ ১৪২৮, করোনা মহামারীর জন্য লকডাউনের মধ্যেই চলছে আমাদের নতুন বছর কে স্বাগতম জানানোর চেষ্টা। কভিড-১৯ বাস্তবতা কে মেনে নিয়েই আমরা চলছি নিরাপদ আগামীর জন্য। তবে অনেকেই এ অবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছেন, অনেকটা বিরক্ত। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন জাতির জনকের জীবনের বিরাট অংশ কেটে গেছে কারাগারের লক ডাউনে, পরিবার পরিজন থেকে তিন...
ড. সুলতান মাহমুদ রানা: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রণীত হয় ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ এবং ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়। এই ঘোষণাপত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।’ ঘোষণাপত্রের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তা...